চলচ্চিত্র অঙ্গনে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। আর করবেই বা না কেন? সিনেমা হলে দর্শকের উপস্থিতি দেখলে সিনেমাপ্রেমী মানুষমাত্রই খুশি না হয়ে পারেন না। শুধু যে দর্শক সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন তা কিন্তু নয়, সিনেমা শেষ করে বেরোনোর পর উচ্ছ্বসিত অনুভূতিও প্রকাশ করছেন। আজ ঈদের চতুর্থ দিন। ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর একটি ‘জংলি’। আলো ছড়িয়ে চলেছে সিনেমাটি।

‘জংলি’র ‘বন্ধুগো শোনো’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। কথা ও সুর প্রিন্স মাহমুদের। ইমরানের সঙ্গে গানটিতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন কনা। ২১ মার্চ টাইগার মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে গানটি। আজ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গানটির ভিউ হয়েছে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন। দর্শক গানটি পছন্দ করেছেন। কেউ কেউ অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন মন্তব্যে। ‘প্রিন্স মাহমুদের কম্পোজিশন মানে মাস্টারপিস’— মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন নূর মোস্তফা। মুন্না আহমেদ লিখেছেন, ‘গানটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। ইমরান ও কনা আপু মানেই গানের মধ্যে অন্য রকম কিছু ফিল করা।’

‘জংলি’ সিনেমার পোস্টারে সিয়াম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ