চুরির অপবাদে ছাত্রলীগ নেতাকে রাতভর নির্যাতন
Published: 5th, April 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে মেহেদী হাসান নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। স্বজনরা বলছেন, তাঁকে আটক করে প্রথমে প্রকাশ্যে পেটানো হয়। এতে অচেতন হয়ে পড়েন মেহেদী। চেতনা ফেরার পর নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তাঁকে দিয়ে গাওয়ানো হয় গান। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। শেষে কিছু টাকা দিয়ে মুক্তি মিললেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন মেহেদী।
উপজেলার শৈলাট গ্রামে গত বুধবার রাতের এ ঘটনায় শনিবার শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেহেদীর মা শিল্পী আক্তার। মেহেদী শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
শিল্পী আক্তার বলেন, ‘রাতভর নির্যাতনের কারণে আমার ছেলে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। বুধবার গাজীপুর গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে যায় সে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। পরে রাত ২টার দিকে ফোনে আমাকে জানানো হয়, মেহেদী নাকি মোবাইল ফোন চুরি করেছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি ছেলেকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। আমার সামনেই ওই এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে জাফর আহমেদ, মোস্তফা কামাল, রুবেল মিয়া, রবীন, ইলিয়াসসহ ১০-১২ জন তাকে পেটায়। এ দৃশ্য দেখে আমি চিৎকার করতে থাকি। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেলেকে তারা ছেড়ে দেয়।’
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শৈলাট গ্রামের নাজিমের ছেলে জাফরের নেতৃত্বে মেহেদীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। মামলায় জাফর ছাড়াও আসামি করা হয়েছে মোস্তফা কামাল, রুবেল মিয়া, রবীন, ইলিয়াসসহ ১০-১২ জনকে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’