গভীর রাতে পুড়ল ধর্ষিতার ঘর, সন্দেহের তীর ধর্ষকের দিকে
Published: 6th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার খোকসায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী দাদার ধর্ষণের শিকার সেই আট বছরের শিশুর বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আফজাল কাজীর ছেলে তারেক কাজীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় ওই শিশুর থাকার একমাত্র টিনের ঘর। এ সময় ঘরে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী শিশু এবং তার মাকে পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় আছেন জানতে চাইলে পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাথা গোঁজার একমাত্র ঘর ও পাশের রান্নাঘরটি পুড়ে গেছে। কয়েকটি বাঁশের খুঁটি অবশিষ্ট রয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা বিছানা-বালিশ আংশিক পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। শিশুটির চাচা বলেন, ‘‘কয়েক দিন ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি আগেই ঘুমিয়ে পড়ি। পরে লোকজনের চিৎকারে জেগে দেখি ভাইয়ের ঘরে আগুন জ্বলছে।’’
তিনি এ সময় অভিযোগ করে বলেন, ‘‘কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া ওই ঘরে গভীর রাতে আগুন লাগবে কী করে?’’ তিনি ধর্ষণের বিচার দাবির পাশাপাশি এই অগ্নিকাণ্ডেরও বিচার দাবি করেন।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনা শোনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত আফজাল কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। হঠাৎ করে ওই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে শোনামাত্র জড়িত থাকার অভিযোগে তারেক কাজী নামে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। তিনি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি আফজাল কাজীর ছেলে।’’
এ দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হোসেন ইমাম বলেন, ‘‘শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’’
কাঞ্চন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।