মিরাজের কাছে জিম্বাবুয়ে সিরিজও ‘কঠিন’ যে কারণে
Published: 6th, April 2025 GMT
বল হাতে এক উইকেট পাওয়ার পর ব্যাট হাতে ৫৫ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আজ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানের জয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের অবদানই বেশি, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। সংস্করণে ভিন্নতা থাকলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে নিজের ফর্ম নিশ্চিতভাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে।
আজ ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ, স্বাভাবিকভাবে সেখানেও ঘুরেফিরে এসেছে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রসঙ্গই। অনেক বছর ধরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজকে কিছুটা হালকাভাবে নেওয়া হলেও বাস্তবে আফ্রিকার এই দলটার বিপক্ষে সতর্ক না থাকলে উল্টো বিপদে পড়ারই ভয় থাকে। কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের খুব আনন্দিত হওয়ার কিছু না থাকলেও তাদের বিপক্ষে যেকোনো হার সমালোচনার শূলে চড়ায় ক্রিকেটারদের।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বড় দল, ছোট দল এ রকম নয়। এখানে পারফর্ম করলে আন্তর্জাতিকভাবেই সেটার স্বীকৃতি মিলবে।মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তরুণদের সুযোগ দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে মিরাজ আজ মিরপুরে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বড় দল, ছোট দল এ রকম নয়। এখানে পারফর্ম করলে আন্তর্জাতিকভাবেই সেটার স্বীকৃতি মিলবে।’
মোহামেডানের হয়ে আজ ৫৫ বলে ৬৭ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন