মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে নতুন পরিকল্পনা
Published: 7th, April 2025 GMT
প্রকৃতিতে কান পাতলেই আমরা নানা ধরনের শব্দ শুনি। একইভাবে মহাকাশে থাকা তারাগুলোও গিটারের তারের আদলে মৃদু কম্পনের শব্দ তৈরি করে। মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে এবার সেই মৃদু কম্পনের শব্দ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারাগুলোর মৃদু কম্পনের শব্দকে তারাকম্প নামে অভিহিত করেন বিজ্ঞানীরা। নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় তারাকম্প বিশ্লেষণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনের নতুন এক কৌশলের কথা বলা হয়েছে।
পৃথিবী থেকে প্রায় তিন হাজার আলোকবর্ষ দূরে এম৬৭ নক্ষত্রপুঞ্জের বিপুলসংখ্যক দৈত্যাকার তারার সুর বিশ্লেষণ করে গ্যালাক্সির রহস্য বের করতে চান বিজ্ঞানীরা। এ জন্য বর্তমানে টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারাকম্পের শব্দের কম্পাঙ্কের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে অনুরণন ঘটে বলে সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যায়।
কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের মতো অধিকাংশ তারায় তারাকম্প ঘটে থাকে। যেসব তারার বুদ্বুদযুক্ত বাইরের স্তর থাকে, সেখানে এমন চিত্র দেখা যায়। গরম গ্যাসের বুদ্বুদ ওপরে উঠে ফেটে যায়, যার কারণে পুরো তারার মধ্যে তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। সেই তরঙ্গের কারণে তারা কম্পিত হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সূর্যের মতো তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বিকশিত হয়, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। এ জন্য এম৬৭ নক্ষত্রপুঞ্জের মতো উৎসের দিকে খেয়াল রাখছেন তাঁরা। তারাকম্প বিশ্লেষণ করে তারার পৃষ্ঠের নিচে কী রয়েছে, তা জানা যাবে। বড় তারায় গভীর ও ধীর কম্পন তৈরি হয়। আর ছোট তারায় উচ্চমাত্রার তীক্ষ্ণ কম্পন দেখা যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।