অমিত-মজিদে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বড় জয়
Published: 7th, April 2025 GMT
রানের দেখা পাননি এনামুল হক বিজয়। তাতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও দেড়শর বেশি যেতে পারল না। দুই ম্যাচ পর নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেতে বেগ পায়নি রুপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫৯ রানে থামে গাজীর ইনিংস। তাড়া করতে নেমে ৩৩.৩ ওভারে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স।
সর্বোচ্চ ৭৬ রান আসে অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে। ১০টি চারের মারে ৯৮ বলে এই রান করেন অমিত। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ওপেনিং জুটিতেই রূপগঞ্জ টাইগার্স ১৩৮ রান তোলে। ওপেনার আবদুল মজিদ ৫৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট না হলে দুজনেই ম্যাচ শেষ করে দিয়ে আসতে পারতেন।
মজিদ সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন দেড় বছর পর মাঠে ফেরা নাসির হোসেন। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। এরপর আব্দুল্লাহ আল গালিব (১৩) ও আল আমিন (২) জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। গাজীর হয়ে তোফায়েল আহমেদ ও আবদুল গাফফার ১টি করে উইকেট নেন।
আরো পড়ুন:
যাদের নাম হয়, তাদের বদনামও হয়: নাসির
‘কথা রেখে’ তানজিদের ঝলমলে সেঞ্চুরি
এর আগে আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন গাজীর ব্যাটসম্যানরা। থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তাহজিবুল ইসলাম ও শামীম মিয়া। তাহজিবুল সর্বোচ্চ ৩১ ও শামীম ২৪ রান করেন। আর কোনো ব্যাটার বিশের বেশি রান পাননি।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিজয় ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মহিউদ্দিন তারেক। ২ উইকেট করে নেন হুসনা হাবিব ও ফয়সাল আহমেদ।
নবম ম্যাচে এটি গাজীর তৃতীয় হার। অন্যদিকে সমান ম্যাচে রূপগঞ্জের দ্বিতীয় জয়। তাদের অবস্থান টেবিলের নবম স্থানে। আর গাজী আছে তিনে।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে