অন্নপূর্ণায় এবার লাল-সবুজ পতাকা ওড়ালেন বাবর
Published: 7th, April 2025 GMT
হিমালয় চূড়া এভারেস্টের পর এবার প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১-এ লাল-সবুজের পতাকা ওড়ালেন চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান বাবর আলী। এ অভিযানের স্পন্সর সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ও অভিযান ব্যবস্থাপক ফারহান জামান জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় ভোরে ৮০৯১ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৪৫ ফুট উঁচু অন্নপূর্ণা-১-এর চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী। এ সময় বাবরের সঙ্গে ছিলেন গাইড ফুর্বা অংগেল শেরপা। নেপাল থেকে অভিযান পরিচালনাকারী সংগঠন মাকালু অ্যাডভেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী মোহন লামসালের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাবর অন্নপূর্ণা-১ জয় করায় এখন আনন্দের বন্যা বইছে তাঁর নিজ জন্মস্থান হাটহাজারীর বুড়িশ্চর এলাকাসহ গোটা চট্টগ্রামে। ছেলের সাফল্যে আনন্দে উদ্বেলিত বাবা লিয়াকত আলী ও মা লুৎফুন্নাহার বেগম।
ফারহান জামান জানান, দুর্গম অন্নপূর্ণা-১ পর্বত জয় করতে গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ থেকে নেপালে যান বাবর। কাঠমান্ডু থেকে পোখারা হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পে। উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে ক্যাম্প-১-এ দুই রাত এবং ক্যাম্প-২-এ এক রাত কাটিয়ে আবার ২ এপ্রিল বেজক্যাম্পে নেমে আসেন।
ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন স্রষ্টা। প্রকৃতিমাতা বিমুখ হননি। বঙ্গ সন্তান বাবরকে ক্ষণিকের জন্য নিজের চূড়ায় দাঁড়াতে দিয়েছে অন্নপূর্ণা।
ফারহান জামান জানান, আমরা জানতে পেরেছি, বাবর আলী সুস্থ অবস্থায় ক্যাম্প-৩-এ নেমে এসেছেন। বাবরকে আজ নেমে আসতে হবে ক্যাম্প-২-এ। আশা করছি, কাল তিনি বেজক্যাম্পে নামবেন। এর আগে বাবর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসে জয় করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ব বর
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক