ডিএনএ মেরামতকারী প্রোটিনের গঠন আবিষ্কার
Published: 8th, April 2025 GMT
ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ার একদল গবেষক। তারা ডিএনএ মেরামতের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিন ‘আরএডি ৫২’-তে অপ্রত্যাশিত এক গঠন খুঁজে পেয়েছেন, যা ক্যান্সার কোষকে বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত তাদের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন এই গঠনের ভিত্তিতে আরএডি ৫২ প্রোটিনকে লক্ষ্য করে নতুন ধরনের ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ার কারভার কলেজ অব মেডিসিনে কর্মরত প্রফেসর মারিয়া স্পাইস জানান, আরএডি ৫২ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
কিছু গবেষণায় ইতোমধ্যে দেখা গেছে, একে বাধা দেওয়া অণুগুলো ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসার তুলনায় এসব ওষুধ কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে। সিএনএন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনএ ট স ট
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী