মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কুলাউড়ার থানার এক উপপরিদর্শক দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার ভাটেরা রাবার বাগানের ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা করলে সোমবার রাতেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা আসামিরা হলেন– খলিল মিয়া (১৮), জিমুল মিয়া (১৮), রুমন মিয়া (৩১) ও ইমন মিয়া (২৯) করে। আসামিদের সবাই ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। 

জানা যায়, ঘটনার দিন ভাটেরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক মো.

ছাদেক মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ আসামি শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় ভাটেরা রাবার বাগানের প্রধান ফটকে শহিদ মিয়ার অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে শহিদ মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় উপপরিদর্শক ছাদেক মিয়া আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে এসে ছাদেক মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। রাতেই পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তবে পালিয়ে যাওয়া আসামি শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার জানান, গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শহিদ মিয়াসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান