৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল থেকে বিক্ষোভ শেষে একপর্যায়ে পিএসসির গেটের ভেতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যরা। এরপর বিকেল ৩টার দিকে পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৬ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।

বৈঠকে বিক্ষোভকারীদের জানানো হয়, পরীক্ষার সময় পেছাতে হলে অনেক কিছুই আবার নতুন করে ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্যই পিএসসির কমপক্ষে তিন দিন সময় প্রয়োজন। তিন দিন পর পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। পরীক্ষার্থীরা পিএসসির তিন দিনের সময় মেনে নিয়ে চলে যান।

আরও পড়ুনফায়ার সার্ভিসে বড় নিয়োগ, পদ ১৬২৮ ঘণ্টা আগে

এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতার কথা তাঁদের বলেছি। তাঁদের কথাও শুনেছি। পিএসসিকে ভালো অবস্থানে নিতে হলে বা জট কমাতে হলে আমাদের যেমন একটা পরিকল্পনা আছে, সে অনুসারে তাঁদের সহযোগিতাও আমাদের প্রয়োজন। সে বিষয়ে কথা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা চলে গেছেন। আমাদের প্রেসের স্লট পাওয়ার বিষয় আছে। আবার আগেই প্রশ্ন ছাপিয়ে রাখতে চাই না। সেটি বুঝতে হবে। স্কুল ও কলেজের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলোও দেখে–শুনে আমাদের সেন্টার পেতে হবে। আমরা কেবল একটা বিসিএস নিয়ে থাকছি না। সব বিসিএসেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। এই বাস্তবতা চাকরিপ্রার্থীরা দেখবেন বলে আশা করি।’

আরও পড়ুন৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুনের মধ্যে৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র প এসস র আম দ র ব স এস

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ