সেন্টমার্টিনে বন্ধ্যা করা হচ্ছে ৩ হাজার কুকুর
Published: 9th, April 2025 GMT
সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও বিপন্ন কাছিম রক্ষায় বেওয়ারিশ তিন হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণ করা হচ্ছে। এ কাজ করতে গতকাল মঙ্গলবার ২৭ সদস্যের একটি দল সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন বিদেশিসহ ৫ জন পশু চিকিৎসক। অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কুকুর বন্ধ্যাকরণের এ উদ্যোগ পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা ‘অভয়ারণ্য’।
অভয়ারণ্যের চেয়ারম্যান রুবাইয়া আহমদ জানান, কুকুর বন্ধ্যাকরণে ২৭ সদস্যের দল বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করবে। সেন্টমার্টিনের প্রতিটি ঘরে চার-পাঁচটি কুকুর পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে দুই বছর পর প্রতি ঘরে ২০টি কুকুর হবে। তখন সংকট আরও বাড়বে। কুকুর স্থানান্তর কিংবা নিধন আইনিভাবে নিষিদ্ধ। তাই কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথমে তিন হাজার কুকুরকে বন্ধ্যা করা হবে। কর্মসূচি কতদিন চালানো যাবে, তা নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপে লোকসংখ্যা ১০ হাজার ৭শ। কুকুর আছে সাত হাজারের বেশি। কুকুরের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে দ্বীপে ডিম পাড়তে আসা কাছিম কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো একটি প্রজাতির অনিয়ন্ত্রিত বংশবৃদ্ধিও প্রাকৃতিক খাদ্যচক্রের জন্য হুমকি বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
পরিবেশ অধিদপ্তর-কক্সবাজারের উপপরিচালক জমির উদ্দিন জানান, সেন্টমার্টিনে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে এক হাজার কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের আওতায় আনা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউভিএস)’।
অভয়ারণ্য জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে তাদের কর্মীরা দ্বীপের উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিমপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের ২০০ ঘরে গিয়ে কুকুরের জরিপ পরিচালনা করেন। জরিপ অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ পরিবারে কুকুর রয়েছে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ বেওয়ারিশ কুকুর। তবে কোনো কুকুর বন্ধ্যাকরণ করা নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন স ন টম র ট ন পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’