দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নিথিয়া মেনন। দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর জার্নিটা তার জন্য সহজ ছিল না। বিশেষ করে তার মাথার কোঁকড়া চুল নিয়ে কটুক্তি কম শুনেননি এই অভিনেত্রী। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

নিথিয়া মেনন বলেন, “আপনাকে আপনার মতো করে থাকতে হবে। মানুষ নিজের মতো করে বাঁচে না— আজকাল এমন প্রবণতা বেশি দেখতে পাচ্ছি। মানুষ তাদের চেহারা, মুখমণ্ডলকেও মাইক্রোম্যানেজমেন্ট করছে। কিন্তু আপনার এটা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনাকে নিজের মতো করে থাকতে হবে, নাহলে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে নিথিয়া মেনন বলেন, “আমার মনে হয়, আমি নিজের মতো থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনি। এটাই আপনাকে স্বীকৃতি এনে দেবে। আমি যখন স্বীকৃতি পাই, তখন আশা করি— এটি মানুষকে নিজের মতো বাঁচার অনুভূতি দেবে।”

আপনি কখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে নিথিয়া মেনন বলেন, “প্রত্যেকের জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার মুহূর্ত আছে। স্কুল-কলেজে পড়াকালীন আমার চুল কোঁকড়ানো ছিল। এর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছি। সেই সময়ে চুল স্ট্রেইট (চুল সোজা করা) করা একটা ট্রেন্ড ছিল। সবাই এতে অভ্যস্তও ছিলেন। কিন্তু আমি এমন কিছু করব, তা চিন্তাও করতে পারিনি।”

সময়ের সঙ্গে গা ভাসাননি নিথিয়া মেনন। এ অভিনেত্রী বলেন, “তারপর আমার কোঁকড়া চুলগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর দেখানোর পথ খুঁজে বের করি। আমি কোনো কিছুই ব্যবহার করিনি। এমনকী, এখনো কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করি না। সবসময়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। আমাকে বলা হতো— খাটো, মোটা, চুল-ভ্রু বড় বড় ইত্যাদি।”

চেহারা নয় শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা হোক। নিথিয়া মেনন বলেন, “আমি এমনভাবে বেড়ে উঠেছি, যেখানে ভাবি, ‘আপনি কেন আমার চেহারা নিয়ে কথা বলবেন? অন্য কিছু বলতে পারেন। আমি চরিত্রে কী নিয়ে এসেছি, তা নিয়ে কথা হোক। আমি খাটো নাকি লম্বা, মোটা নাকি পাতলা তা বিবেচ্য নয়। আমার শিল্পটাকে সুক্ষ্মভাবে দেখুন।”

১৯৯৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নিথিয়া মেনন। ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কন্নড় ভাষার ‘সেভেন ও ক্লক’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর ‘উস্তাদ হোটেল’, ‘বেঙ্গালুরু ডেজ’, ‘হানড্রেড ডেজ অব লাভ’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন তিনি।

নিথিয়া মেনন অভিনীত ৬১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। গত বছর ‘থিরুচিত্রম্বলম’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে তামিল ভাষার দুটো সিনেমার কাজ রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন জ র মত

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ