বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

প্রথমদিনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ৩৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রী।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব/ঘটনা, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.

খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৪টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো:-

১. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ।
৩. প্রথমে এমসিকিউ, পরে সৃজনশীল পরীক্ষা; কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. প্রবেশপত্র পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে।
৫. ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর কেন্দ্রের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
৬. OMR ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
৭. সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৮. শুধু নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
৯. নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে না; আসনবিন্যাসে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
১০. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
১২. একই উপস্থিতিপত্রে তিন অংশের উপস্থিতি গণনা করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ক ষ পর ক ষ র ও সমম ন

এছাড়াও পড়ুন:

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অপেক্ষা ফলাফলের, মেধাক্রম যেভাবে

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ফলাফলের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১০টা থেকে দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।

গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।

আরও পড়ুনশিক্ষক-কর্মচারীরা আইন পেশা, সাংবাদিকতাসহ একই সঙ্গে অন্য চাকরি করতে পারবেন না, নীতিমালা জারি০৯ ডিসেম্বর ২০২৫মেধাতালিকা নির্ধারণ কীভাবে—

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

(ক) এসএসসির জিপিএর-৮ গুণ = ৪০।

(খ) এইচএসসির জিপিএর ১২ গুণ = ৬০।

লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এই দুইয়ের যোগফলেই মেধাতালিকা চূড়ান্ত হবে।

*২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং গত শিক্ষাবর্ষে কোনো সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস এক হাজার ৪০৫টি। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্স এক ৯৫০টি আসন। ১৩ হাজার ৫১ টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন।

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অপেক্ষা ফলাফলের, মেধাক্রম যেভাবে