গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি রাজশাহী কলেজ শাখা শিবিরের
Published: 9th, April 2025 GMT
গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজশাহী কলেজের প্রশাসন ভবনে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেছেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এ পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো.
পতাকা উত্তোলন শেষে রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রশিবিরের সহকারি অফিস সম্পাদক হাফেজ শাহিনুল ইসলাম বলেন, “ইজরায়েল শতাব্দীর সব থেকে বড় গণহত্যা ফিলিস্তিনে চালিয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি বিশ্বের মোড়লরা সবাই নিশ্চুপ এবং অনেকে ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে। আমরা চাই, অতি দ্রুত ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের শুধু প্রতিবাদ করলেই চলবে না। আমাদের ইজরায়েলের সব পণ্য বয়কট করতে হবে এবং এর মাধ্যমে যদি বিশ্বের সব দেশ চাপ সৃষ্টি করলে অবশ্যই ফিলিস্তিন রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা অর্জন করবে।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, “ফিলিস্তিনে চলমান ইজরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কলেজের প্রশাসন ভবনে ফিলিস্তিনে পতাকা উত্তোলন করেছি।”
তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাতে চায়, গাজায় ইজরায়েলি বাহিনী যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদে যেন বিশ্বের সবাই একতাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসে।”
ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইজর য় ল গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।