Prothomalo:
2025-12-13@19:10:13 GMT

মুগিস ও বারিরার কাহিনি

Published: 10th, April 2025 GMT

সাহাবিদের মধ্যে বারিরা নামে এক আনসারি নারী ছিলেন ক্রীতদাসী। তাঁর স্বামীর নাম মুগিস। বারিরা তার মনিবের দাসত্ব মুক্ত হতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি তার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে দাসত্ব থেকে মুক্তির চুক্তি করেন। তাকে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)।

 মুক্ত হওয়ার পর বারিরা তার স্বামীর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। ইসলামের বিধান হলো, কোনো বিবাহিত নারী দাসত্ব থেকে মুক্ত হলে তিনি তার বর্তমান বিয়ের বন্ধন ছেড়ে দেওয়ার ঐচ্ছিক স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বামী তাকে ‘তালাক’ না দিলেও তিনি চাইলে স্বামীকে ছেড়ে আসতে পারবেন।

 বারিরা তাঁর স্বামী মুগিসকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুগিস বারিরাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাকে পাওয়ার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মদিনার অলিগলিতে তাঁর পিছু পিছু ঘোরেন। কিন্তু মুগিসের প্রতি বারিরার কোনো সমবেদনা হয়নি।

আরও পড়ুনআবু জাহেলের মা আসমা বিনতে মুখাররাবা (রা.

) সাহাবি ছিলেন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে মুগিস ছুটে গেলেন নবীজি (সা.)-এর কাছে। নবীজি (সা.) বারিরাকে বলেন, ‘তুমি যদি তাঁর সঙ্গে ঘরসংসার করতে! সে তো তোমার স্বামী। তোমার সন্তানের পিতা।’

 বারিরা বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল(সা.), আপনি কি আমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন?’

 তিনি বললেন, ‘আমি কেবল সুপারিশ করছি।’

 বারিরা বললেন, ‘তাকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’

 আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, বারিরার স্বামীও ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁকে মুগিস নামে ডাকা হতো। আমি যেন এখনো তাকে দেখছি, তিনি বারিরার জন্য কেঁদে কেঁদে ঘুরছেন, আর তার দাঁড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘আব্বাস, বারিরার প্রতি মুগিসের ভালোবাসা এবং মুগিসের প্রতি বারিরার অনাসক্তি দেখে আপনি কি আশ্চর্য হন না?’ (বুখারি, হাদিস: ৫,২৮৩)

আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবি০৯ নভেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বলল ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ