Prothomalo:
2025-06-17@01:30:18 GMT

মুগিস ও বারিরার কাহিনি

Published: 10th, April 2025 GMT

সাহাবিদের মধ্যে বারিরা নামে এক আনসারি নারী ছিলেন ক্রীতদাসী। তাঁর স্বামীর নাম মুগিস। বারিরা তার মনিবের দাসত্ব মুক্ত হতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি তার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে দাসত্ব থেকে মুক্তির চুক্তি করেন। তাকে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)।

 মুক্ত হওয়ার পর বারিরা তার স্বামীর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। ইসলামের বিধান হলো, কোনো বিবাহিত নারী দাসত্ব থেকে মুক্ত হলে তিনি তার বর্তমান বিয়ের বন্ধন ছেড়ে দেওয়ার ঐচ্ছিক স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বামী তাকে ‘তালাক’ না দিলেও তিনি চাইলে স্বামীকে ছেড়ে আসতে পারবেন।

 বারিরা তাঁর স্বামী মুগিসকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুগিস বারিরাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাকে পাওয়ার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মদিনার অলিগলিতে তাঁর পিছু পিছু ঘোরেন। কিন্তু মুগিসের প্রতি বারিরার কোনো সমবেদনা হয়নি।

আরও পড়ুনআবু জাহেলের মা আসমা বিনতে মুখাররাবা (রা.

) সাহাবি ছিলেন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে মুগিস ছুটে গেলেন নবীজি (সা.)-এর কাছে। নবীজি (সা.) বারিরাকে বলেন, ‘তুমি যদি তাঁর সঙ্গে ঘরসংসার করতে! সে তো তোমার স্বামী। তোমার সন্তানের পিতা।’

 বারিরা বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল(সা.), আপনি কি আমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন?’

 তিনি বললেন, ‘আমি কেবল সুপারিশ করছি।’

 বারিরা বললেন, ‘তাকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’

 আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, বারিরার স্বামীও ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁকে মুগিস নামে ডাকা হতো। আমি যেন এখনো তাকে দেখছি, তিনি বারিরার জন্য কেঁদে কেঁদে ঘুরছেন, আর তার দাঁড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘আব্বাস, বারিরার প্রতি মুগিসের ভালোবাসা এবং মুগিসের প্রতি বারিরার অনাসক্তি দেখে আপনি কি আশ্চর্য হন না?’ (বুখারি, হাদিস: ৫,২৮৩)

আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবি০৯ নভেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বলল ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ