দলকে জিতিয়েও সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ
Published: 10th, April 2025 GMT
২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ব্যাটিং করলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। সেঞ্চুরিতে রাঙানোর সুযোগ ছিল তার ইনিংস। সেদিকেই এগিয়ে যেতে থাকলেন। কিন্তু ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক আটকে গেলেন ৯৭ রানে। তার ৩ রানের আক্ষেপের দিনে অবশ্য দল জয় হাতছাড়া করেনি। রূপগঞ্জ টাইগার্সের করা ২৮০ রান তারা পেরিয়ে যায় ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে।
চায়নাম্যান নুহায়েল সানজিদের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সোহান। ৯৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি মিস হলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ধানমন্ডির হয়ে রান পেয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। ৪০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। এছাড়া চল্লিশের ঘরে আটকে যান ফজলে মাহমুদ (৪৭), আজমির আহমেদ (৪০)। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
আরো পড়ুন:
অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক
পারিশ্রমিক না পেলে ম্যাচ বয়কটের হুমকি পারটেক্সের
রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ৬৫ রানে ৩ উইকেট নেন নুহায়েল। এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের সেরা ছিলেন নাসির হোসেন ও আসাদুল্লাহ গালিব। নাসির ৮৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রান করেন। আসাদুল্লাহ ৮০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৬৫ রান। শেষ দিকে আরিফুল হক ২৮ বলে ৬ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে নুহায়েল ২৬ বলে ৩৪ রান করলে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় রূপগঞ্জ। কিন্তু সোহানের দৃঢ়তায় ওই রান অনায়েসে টপকে যায় ধানমন্ডি। ধানমন্ডির হয়ে বল হাতে ৫৯ রানে ৩ উইকেট নেন ফজলে মাহমুদ।
১০ ম্যাচে এটি ধানমন্ডির চতুর্থ জয়। শেষ রাউন্ডের ম্যাচ জিতলেও তাদের সুপার লিগে উঠা হচ্ছে না। রূপগঞ্জ টাইগার্সের এটি সমান ম্যাচে সপ্তম হার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড র পগঞ জ র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।