‘গোল চুরি’ করে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া
Published: 10th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। বড় জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে কাতালানরা। দলের একহালিতে স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভিস্কি জোড়া গোল করেছেন। রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল করেছেন একটি করে গোল।
দলের হয়ে রাফিনিয়া ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। তবে গোলটি হতে পারত কাতালান ডিফেন্ডার পাও কুবার্সির। তিনি বার্সার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলের মুখে বল পেয়ে পা বাড়িয়ে শট নেন। তা গোল হয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে বল জালে ঢুকিয়ে দেন রাফিনিয়া।
সতীর্থ কুবার্সির ওই গোল ‘চুরি’ করায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চলতি মৌসুমে বার্সার হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। গোল হবে কিনা দ্বিধা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘গোলটা নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। অফ সাইড হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আমি কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সে বলেছে- আমি কিছু মনে করিনি। এটাকে গোলে সহায়তাই মনে করেছি।’
চলতি মৌসুমে রাফিনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ গোল করেছেন। যা মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। গোল ও গোলে সহায়তা মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯। এক মৌসুমে ইউরোপের লড়াইয়ে মেসির সমান গোল ও গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়ার কারণে এমনটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান এই বাঁ-পায়ের ফুটবলার, ‘শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা উপভোগ করি। আমরা দলের একে অপরকে খুব ভালো বুঝি। আশা করছি, এভাবে এগিয়ে যেতে পারবো।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলে ইন্টার মিলান নয়তো বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে হবে বার্সার। পূর্বে বায়ার্নে ভীতে দেখা গেছে কাতালানদের। যদিও ফ্লিক এখন শেষ চার নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘আমরা এখনো জিতিনি। আপনি ফুটবলে কী ঘটবে তা বলতে পারবেন না। পাগলাটে সব ঘটনা ঘটে এখানে। আমরা যেভাবে আজ খেলেছি, এভাবে পরের ম্যাচেও খেলতে হবে।’ বার্সা ও ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় লেগে ১৬ এপ্রিল রাতে মুখোমুখি হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।