রাজশাহীর বাঘায় ভুট্টাখেত থেকে শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালিদাশখালীর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া শফিকুল ইসলাম চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালিদাশখালী গ্রামের ফজল শেখের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। তাঁর চার বছরের এক ছেলে ও এক বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে।

নিহত শফিকুলের স্ত্রী শারমিনের বরাত দিয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, বিকেলে গবাদিপশুর জন্য বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে যান শফিকুল। সেখানে কে বা কারা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে মাঠ পাহারাদার হাবলু রক্তাক্ত অবস্থায় শফিকুলকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর ভাগনে আবদুল হালিমকে খবর দেন। পরে আবদুল হালিম স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় শফিকুলকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, অপরাধী শনাক্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। নিহত শফিকুলের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠানো হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম  

বন্দরে বাড়ী দেওয়ালে আস্তর করা কাজে  বাধা প্রদানের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাত্রী আক্তার (২৪)।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত হোসনে আরা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই দিন রাতে  বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী ইব্রাহিম, মুক্তার, জীবন, হাসনা বানু,  সজিব, কালু ও ইলিয়াস মিয়ার নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি  লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে,  বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম একই এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোক্তারসহ উল্লেখিত এলাকার জীবন, হাসনা বানু, সজিব, কালু ও ইলিয়াসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। 

গত ২৩ জুলাই বিকাল ৫টায় প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম হাসনা বানুর বসত বাড়ী সিমানা ঘেঁষে কোন প্রকার  জায়গা না ছেরে পাকা ভবন নির্মঠু করে আসছে । প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম  হাসনা বানু জায়গায় দাড়িয়ে দেওয়ালে আস্তর করতে চাইলে ওই সময় হাসনা বানু মেয়ে রাত্রী আক্তার আস্তর করা কাজে বাঁধা প্রদান করে।  

এ ঘটনায় সকল  বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসনা বানু বসত বাড়িতে  অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে বসত বাড়ি ভাংচুরসহ ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গেলে রাত্রী আক্তারকে বেদম মারধর  জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে স্নালতাহানী করে।

ওই সময় হামলাকারিরা রাত্রী আক্তারের  গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন

কোনো কারন ছাড়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন নেতৃত্বে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা হাসনা বানু বাড়িতে  অনধিকার প্রবেশ করে কোনো কারন ছাড়া এলোপাথারী কিলঘুষি মেরে মারধর সহ আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে।

তারপর বিবাদীগন আমার পরিহিত জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্ললতাহানী করে। আর আমার ও আমার পরিবারের প্রান নাশের ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম সাবেক ছাত্র নেতা  জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পশ্চিম হাজীপুর ও পূর্ব হাজীপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ