আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।

তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’

তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’ আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।

তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’

তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল ম পরওয় র র জন য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো একমত হলে বর্ষপূর্তিতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ

ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিশেষ করে নির্বাচিত সরকারের সংস্কার করা সংবিধানের প্রস্তাবনায় এই স্বীকৃতির উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া সংবিধানের তফসিলেও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংযুক্ত থাকবে। এ ঘোষণাপত্র ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে।

বহুল আলোচিত জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এ কথাগুলো বলা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচিত বিষয় এই ঘোষণাপত্র। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলকে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর সবুজ সংকেত পেলে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতেই ঘোষণা করা হতে পারে জুলাই ঘোষণাপত্র।

ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক এবং আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসংগত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।’

আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি ৫ ঘণ্টা আগে

পরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

খসড়া ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের প্রতিষ্ঠিত বাকশাল বা একদলীয় শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহি জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় বলে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের কথা যেমন এতে উল্লেখ রয়েছে, পাশাপাশি এক-এগারোর ‘ষড়যন্ত্রমূলক বন্দোবস্তের’ কড়া সমালোচনাও ঘোষণাপত্রে আছে।

জনগণের লড়াইকে সমর্থন দেয় সামরিক বাহিনী

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মতো আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ’১৮ ও ’২৪) দেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে বলেও জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ-জলবায়ু ও প্রাণবৈচিত্র্য বিপন্ন করে।

খসড়া ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি ঘোষণা করে, যা পরে ১ দফায় রূপান্তরিত হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন দেন। তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট (২০২৪) পদত্যাগ করেন এবং তিনি মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলগুলো একমত হলে বর্ষপূর্তিতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ
  • মৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি
  • জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি জরুরি: জামায়াতের নায়েবে আমির
  • জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে ৩ দলের আপত্তি, বিএনপি মোটামুটি একমত
  • জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক নয়, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পক্ষে বিএনপি
  • তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে একমত হলেও প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়নের প্রক্রিয়ায় মূল বিরোধ: আলী রীয়াজ
  • ২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
  • জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক: জামায়াত
  • বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চান শিক্ষার্থীরা, একমত না শিক্ষকরা
  • জুলাই সনদের খসড়া গ্রহণ করতে পারি না: এনসিপি