সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে নির্বাচনে গেলে শঙ্কা দেখা দেবে: জামায়াত
Published: 12th, April 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।
তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।
আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’
তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’ আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।
তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।
আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’
তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল ম পরওয় র র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।
নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।
জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।