কোলের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
Published: 12th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় কোলের শিশুকে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে প্রায় এক মাস ধরে দফায় দফায় ধর্ষণ করে বখাটেরা। সর্বশেষ ৯ এপ্রিল ধর্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারী। ঘটনাটি তিনি স্বামীকে জানান এবং শুক্রবার ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর স্বামীর অভিযোগ, রমজান মাস শুরুর কয়েক দিন আগে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিঙ্ক রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার রাকিব ওরফে মাইন, নয়ন, নজরুলসহ পাঁচজন তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। শিশুকে জিম্মি করে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা এবং ভিডিও ধারণ করে।
ফতুল্লা থানার ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, রাকিব নামে এক বখাটে ওই গৃহবধূকে অন্যদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার্থীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দুই ভুক্তভোগীকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে লেখাপড়ার এক পর্যায়ে সে শৌচাগারে যায়। এ সময় ওমর কাজী নামে এক যুবক গামছা দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। দূরে নিয়ে ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর ভাই ও মা বলেন, ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশের পরামর্শে ভোলার হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করবেন।
থানার ওসি আহসান কবির জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেননি।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে পাঁচ বছরের শিশুকে চিপস দেওয়ার কথা বলে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ভোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শংকর তালুকদারসহ পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।
চিকিৎসক তায়েবুর রহমান জানান, দুই ভুক্তভোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দু’জনই শঙ্কামুক্ত।
অন্যদিকে, কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ১ এপ্রিল বন্দরে এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার বন্দর থানায় টিপু সুলতান, সজিব হোসেন ও অজ্ঞাতনামা দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে সজিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আশিক দেওয়ান শান্ত নামে এক তরুণকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার চরসিন্দুর এলাকায় ওই কিশোরীকে ঘুরতে নিয়ে যায় আশিক। পরে রাতে চরসিন্দুরের চলনা গ্রামে নানির বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণ ও তার এক বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নরসিংদীর রায়পুরায় দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আজ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সম্মিলিত সচেতন নাগরিক সমাজ।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাক্প্রতিবন্ধী শিশুকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি পরিতোষ চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব-১৩-এর একটি দল। পরিতোষের বাড়ি ফুলবাড়ীর এলুয়াড়ী ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে। এর আগে ২১ মার্চ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার রুহুল আমীন (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ৮ এপ্রিল রাতে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ করে রুহুল আমীন। এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় মামলা হলে ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ হবধ গ র প ত র কর শ ক রব র র উপজ ল উপজ ল য় ঘটন য় এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।