ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িক্কলের ব্যাটিং ঝড়ে বড় জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আজ রোববার সন্ধ্যায় জয়পুরে তারা রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

রাজস্থান আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে সল্ট-কোহলি-পাড়িক্কলের ব্যাটে ভর করে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

রান তাড়া করতে নেমে সল্ট ও কোহলি উদ্বোধনী জুটিতে ৮.

৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ৯২ রান। সেখানেই মূলত তাদের জয়কাব্য লেখা হয়ে যায়। এই রানে কুমার কার্তিকিয়ার বলে যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সল্ট। যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫টি চার ও ৬ ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস খেলে যান।

আরো পড়ুন:

বিপিএলে আবার দল নেওয়ার ইঙ্গিত শাকিব খানের

বিপিএলে পারিশ্রমিক না পেয়ে ক্ষুব্ধ আফ্রিদি বিসিবিকে অভিযোগ

এরপর কোহলি ও পাড়িক্কল ৫৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কোহলি ৪৫ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন পড়িক্কল।

তার আগে রাজস্থানের ইনিংসে জয়সওয়াল ৪৭ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলে লড়াকু সংগ্রহে অবদান রাখেন। এছাড়া ধ্রুব জুড়েল ২৩ বলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। রিয়ান পরাগ ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান।

বল হাতে বেঙ্গালুরুর জশ হ্যাজলউড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার ও যশ ঢুল ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন সল্ট।

এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে বেঙ্গালুরু। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে দিল্লি ক্যাপিটালস শীষের্ ও গুজরাট টাইটান্স আছে দ্বিতীয় স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন র ইন প ড় ক কল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। তাঁদের নিঃশেষে প্রাণদানের স্মৃতি আজ গভীর বেদনায় স্মরণ করবে জাতি। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীলনকশার শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

অমিত বিক্রম বাঙালির জীবনপণ যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় তখন ছিল কেবল দিনগণনার বিষয়। সেই অনিবার্য পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই চক্রান্ত করেছিল তারা। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদের সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের মিত্র এ দেশি রাজাকার, আলবদর বাহিনী। এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে পরে মিরপুরে রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটখোলা ও মিরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় যুক্ত মানুষের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অনেকের ছিল পিছমোড়া করে হাত ও চোখ বাঁধা। ভয়ানক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল শরীরে। তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে।

শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের ছিল দুটি পর্যায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ প্রাজ্ঞজনেরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন উদিত যৌবনের বহু সম্ভাবনাময় তরতাজা প্রাণ। আজ তাঁদের স্মৃতির স্মরণ করা হবে সারা দেশে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

কর্মসূচি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং হুইলচেয়ারধারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ