সল্ট-কোহলি-পাড়িক্কলের ব্যাটে বেঙ্গালুরুর বড় জয়
Published: 13th, April 2025 GMT
ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িক্কলের ব্যাটিং ঝড়ে বড় জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আজ রোববার সন্ধ্যায় জয়পুরে তারা রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
রাজস্থান আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে সল্ট-কোহলি-পাড়িক্কলের ব্যাটে ভর করে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
রান তাড়া করতে নেমে সল্ট ও কোহলি উদ্বোধনী জুটিতে ৮.
আরো পড়ুন:
বিপিএলে আবার দল নেওয়ার ইঙ্গিত শাকিব খানের
বিপিএলে পারিশ্রমিক না পেয়ে ক্ষুব্ধ আফ্রিদি বিসিবিকে অভিযোগ
এরপর কোহলি ও পাড়িক্কল ৫৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কোহলি ৪৫ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন পড়িক্কল।
তার আগে রাজস্থানের ইনিংসে জয়সওয়াল ৪৭ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলে লড়াকু সংগ্রহে অবদান রাখেন। এছাড়া ধ্রুব জুড়েল ২৩ বলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। রিয়ান পরাগ ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান।
বল হাতে বেঙ্গালুরুর জশ হ্যাজলউড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার ও যশ ঢুল ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন সল্ট।
এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে বেঙ্গালুরু। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে দিল্লি ক্যাপিটালস শীষের্ ও গুজরাট টাইটান্স আছে দ্বিতীয় স্থানে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন র ইন প ড় ক কল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।