তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করছে; যা উন্নত বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করবে।

গতকাল শনিবার তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরাম, ২০২৫’–এর ফাঁকে টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

গত সরকারের সমালোচনা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার শাসনামলের অস্থিতিশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও সরকার কাজ করছে।

সাক্ষাৎকারে মাহফুজ আলম আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে নির্বাচন—এই তিন বিষয় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ করছ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ