ছাড় সাময়িক, সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আসছে: ট্রাম্পের হুমকি
Published: 14th, April 2025 GMT
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসবে। গতকাল রোববার এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, চীনের ওপর তাঁর পাল্টা শুল্কারোপ থেকে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার যে ছাড় পেয়েছে, তা স্বল্প সময়ের জন্য।
ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বাণিজ্যব্যবস্থা নতুন করে শুরু করতে চান। তবে এই ক্ষেত্রে কয়েকটি কোম্পানি শুল্কে কিছুটা সুবিধা পাবে বলেও যোগ করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনচীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশ১০ এপ্রিল ২০২৫ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, ‘আমরা অন্যান্য অনেক কোম্পানির জন্য এটা কম জটিল করতে চেয়েছি। কারণ, আমরা নিজেদের চিপ, সেমিকন্ডাক্টর এবং অন্যান্য জিনিস আমাদের দেশেই তৈরি করতে চাই।’
স্মার্টফোনসহ কিছু পণ্যের ওপর তারপরও করছাড় থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বলেছেন, ‘আপনাকে কিছুটা নমনীয় হতেই হবে। কারও এতটাও অনমনীয় হওয়া উচিত না।’
গত ২ এপ্রিল বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ওপর নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। পরে ট্রাম্প ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রেখে বাকি শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।
আরও পড়ুনস্মার্টফোন ও কম্পিউটার নতুন শুল্কের বাইরে রাখার ঘোষণা ট্রাম্পের১২ এপ্রিল ২০২৫কিন্তু ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর ওই ১০ শতাংশ শুল্কও কার্যকর হবে না। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রল থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এমনকি চীনের ওপর শুল্ক স্থগিত না করে তা আরও বাড়ানো হলেও তাদের ইলেকট্রনিক পণ্য শুল্কের বাইরে রাখা হয়েছে। চীন ট্রাম্পকে শুল্ক সম্পূর্ণ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুনএবার মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন১১ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা শুল্ক ‘সম্পূর্ণ বাতিল’ করার আহ্বান চীনের৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক