চট্টগ্রামের ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি মিছিল থেকে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশ আশপাশ থেকে পাঁচজনকে আটক করে। তাঁদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভোরে তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আবদুল করিম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে থানায় আনা হয়েছিল। রাত পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আসায় জিডিমূলে জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দিয়েছি।’

সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন পরিষদ ডিসি হিলে প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষ বরণের আয়োজন করেছিল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন অনুমতিও দেয়। রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির সময় একটি মিছিল থেকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পরিষদ অনুষ্ঠান বাতিল করে। ৪৭ বছরে এই প্রথম বাধার কারণে নববর্ষের অনুষ্ঠান হলো না ডিসি হিলে। ১৯৭৮ সাল থেকে ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে দুই বছর এই আয়োজন বন্ধ ছিল।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিসি হিলের ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে সিআরবি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশে সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, বাসদের আল কাদেরি, বাসদ মার্ক্সবাদীর সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের দায় জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এড়াতে পারে না। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতিগত অস্তিত্বের জন্য এটা এক অশনিসংকেত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫

রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রওশন আরা (৬০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাজারীবাগ থানার পুলিশ জানায়, রওশন আরা সপরিবার হাজারীবাগ ৫ নম্বর কালুনগর বেড়িবাঁধ–সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী আমজাদ হোসেন।

হাজারীবাগ থানার পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিন-চারজন দুর্বৃত্ত রওশন আরার বাসায় ঢোকে। এ সময় তারা রওশন আরার ছেলেকে মারধর করে। রওশন আরা তাঁর ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। দুর্বৃত্তদের লাঠির আঘাতে রওশন আরার মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রওশন আরা কালুনগরে এক ব্যক্তির জমিতে ঘর তুলে স্বামী–সন্তান নিয়ে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলছিল। গতকাল রাতে দুই পক্ষই বিষয়টি সুরাহার জন্য হাজারীবাগ থানায় এসেছিলেন। সেখান থেকে রওশন আরার প্রতিপক্ষের কয়েকজন লোক কালুনগরে যান এবং ঘরে ঢুকে তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালান। হত্যায় জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫