নববর্ষের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধীরা বলছেন, অপমানিত বোধ করেছি
Published: 14th, April 2025 GMT
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ময়মনসিংহে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও মহানগরের নেতারা। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে বর্ষবরণেল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্যসচিব আলী হোসেন নিমন্ত্রণ পেয়ে অপমানিত বোধ করেছেন বলে জানান।
সকালে শোভাযাত্রা শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, বর্ষবরণের এক জমকালো অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে নিমন্ত্রণ করা হয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর শাখার নেতাদের। তারা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সমন্বয় করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা হয়েছে, অথচ তাদের কাউকেই বিষয়টি জানানো হয়নি। জেলা প্রশাসনের দাওয়াত না পেয়ে পরে আলাদাভাবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন করেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগরের সদস্যসচিব আল নূর আয়াস বলেন, ‘জেলা প্রশাসন বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অথচ আমাদের কাউকেই জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। জুলাই-আগস্টে রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাউকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানটি কিভাবে হবে, এটা জানতে আমি স্বপ্রণোদিতভাবে জেলা প্রশাসককে ফোন করি। তখন তিনি আমাদের অনুষ্ঠানে যেতে বলেন। কিন্তু আমাদের সহযোদ্ধারা এভাবে নিমন্ত্রণ পেয়ে অপমানিত বোধ করেন। তাই তারা কেউ অনুষ্ঠানে যায়নি।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ‘বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আমরা কাউকে অফিসিয়ালি দাওয়াত দেইনি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্যসচিবকে বলা হয়েছিল, সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য। ডিসির পক্ষে সবাইকে আলাদা আলাদা নিমন্ত্রণ করা সম্ভব না। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আরও অনেক অফিসার আছে। তারা সবাইকে দাওয়াত দিতে পারেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ সদস যসচ ব ব ধ কর আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আসন খসড়া বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনবিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরের চান্দুরার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আধাঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান তারা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই খসড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন:
স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ
বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিজয়নগর উপজেলা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে একটি সুসংগঠিত এলাকা। তিনটি ইউনিয়নকে অন্য আসনে যুক্ত করার প্রস্তাব বিজয়নগরবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত। তারা অবিলম্বে আগের আসনবিন্যাস ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। দাবি না মানলে ২৪ ঘণ্টার জন্য মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।
অন্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চান্দুরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি লুতফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাষ্টু সরকার ও চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু তাহেরসহ অন্যরা।
গত বুধবার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এ খসড়ার বিরুদ্ধে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি, অভিযোগ ও দাবি জানানো যাবে। পরে সেসব শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ