নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মসজিদের ইমাম নিহত
Published: 15th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোহাম্মদ আলী (৭২) নামে একজন মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন। সকালে ফজরের নামাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তিনি এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়ার নওদাপাড়া মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ আলী কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন ফকিরাবাদ নওদাপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং খেজুরতলা জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে নওদাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গাগামী পাথর বোঝাই ট্রাক (কুষ্টিয়া-ট-১১-২৬৩৯) ইমাম মোহাম্মদ আলীকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ট্রাকসহ চালক রাজা মিয়া ও হেলপার মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক