দেশের যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে আজ
Published: 17th, April 2025 GMT
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বুধবার বৃষ্টি হয়েছে। তপ্ত বৈশাখের এ বৃষ্টিতে তাপও কমে গেছে অনেকটা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
এর মধ্যে পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে অপেক্ষাকৃত বেশি। আজ রাজধানীতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামীকাল শুক্রবারও বৃষ্টি থাকতে পারে বলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সকাল থেকে গতকাল রাজধানীর আকাশ ছিল ঝলমলে। গরমও কম ছিল না। তবে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। বেলা তিনটা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর রাত প্রায় আটটা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। রাজধানীতে তিন ঘণ্টায় রাজধানীতে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ হিসাব বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। গতকাল রাজধানীতে যতটা বৃষ্টি হয়েছে, তা ছিল এ মাসে রাজধানীতে সর্বোচ্চ।
তবে শুধু রাজধানীতে নয়, বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় কক্সবাজারে, ৬০ মিলিমিটার। এ ছাড়া অন্য জায়গাগুলোর মধ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২৫, শ্রীমঙ্গলে ২২, সাতক্ষীরায় ১৭, কুমিল্লায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
আজ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে থাকতে পারে বজ্রঝড়। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টির কথাও বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে বৃষ্টি কাঙ্ক্ষিত ছিল। এতে কিছুটা সময় হলেও কমবে তাপ। তাতে এ বৃষ্টিতে নগরবাসীদের অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অফিসফেরত মানুষ। কারণ, অনেকেই ছাতা নিয়ে বাইরে বের হননি।
এই বৈশাখের কালবৈশাখীর সময় বৃষ্টির ধরনই এমন। প্রচণ্ড গরম, হঠাৎ মেঘ, প্রবল বৃষ্টি। তাতে কিছুটা ঠান্ডা হয় চারপাশ। আবার গরম পড়ে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে, ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির পর এ তাপমাত্রা কমে আসে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?