‘পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসার করতে হবে’
Published: 18th, April 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গভীরভাবে যুক্ত। আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ মানে পরিবেশ রক্ষা করা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের এজওয়াটার গ্যালারিতে মাহীন খানের বৈশাখী উৎসব ও "ক্রাফটিং দ্য মেনি থ্রেডস অফ কালচারাল টেক্সটাইলস’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফ্যাশন ডিজাইনার মাহীন খানের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই প্রদর্শনী ডিজাইনারের সৃজনশীলতার পরিচয়। তিনি ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে টেকসই পন্থা গ্রহণ করেছেন। এই কাজ শুধু শিল্প নয়, এটি টেকসই ভবিষ্যতের পথও দেখাবে।”
আরো পড়ুন:
‘বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে সহযোগিতা করবে সুইডেন’
পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
প্রদর্শনীর সঙ্গে মিল রেখে বৈশাখী উৎসবে গান, ফ্যাশন শো এবং বাংলার নববর্ষ উদযাপন হয়। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী, ডিজাইনার ও সংস্কৃতিমনা দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য দেন ডিজাইনার মাহীন খান, আয়োজক শৈবাল সাহা, ইউসিবি ও এমটিবি ব্যাংকের প্রতিনিধি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট ড জ ইন র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু