Samakal:
2025-08-01@04:41:12 GMT

বাজে শটে সাজঘরে মুশফিক

Published: 20th, April 2025 GMT

বাজে শটে সাজঘরে মুশফিক

দ্বিতীয় সেশনে নাজমুল হোসেন শান্তর পর উইকেট দিয়ে এসেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও (৪)। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার সহজ বলে বাজে শটে আউট হলেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব‍্যাটসম‍্যান। মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৫ রান। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী জাকের আলি।

মধ্যাহ্নভোজের পর শান্তকে হারাল বাংলাদেশ

মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরু হলে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক।  তবে দলীয় ৯৮ রানে শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুলের সঙ্গে শান্তর ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ করে মুজারাবানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর। ৩৩ ওভার শেষে ৯৮ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ০ রানে মুশফিক ও ২৫ রানে আছেন মুমিনুল।

বৃষ্টি বাগড়ায় ৩০ মিনিট পর খেলা শুরু

বৃষ্টির বাগড়ায় ভেসে গেল ৩০ মিনিট।  দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হলো । মধ্যাহ্নভোজের আগে  ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ৪৩ বলে ৩০ ও মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৪৬ বলে ২১ রানে।

মধ্যাহ্নভোজের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

সকাল থেকেই ছিল বৃষ্টির চোখরাঙানি। মধ্যাহ্নভোজের ঘন্টাখানিক আগে থেকেই আলো কমে যাওয়ায় ফ্লাডলাইট চালু করা হয়। কৃত্রিম আলোতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তবে এই বিরতির মাঝেই নেমেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট ও এর আশপাশের জায়গা ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি দ্বিতীয় সেশনের খেলা।

রোববার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৮৪ রান। শান্ত ৪৩ বল খেলে পাঁচটি চার মেরে অপরাজিত ৩০ রানে, আর মুমিনুল ৪৬ বলে দুটি চারে অপরাজিত ২১ রানে ব্যাট করছেন। এই জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হয় ৭৭ বলে।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল হতাশাজনক। প্রথম ঘণ্টাতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র ৩২ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর ধৈর্য আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতে প্রথম সেশন শেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে টাইগাররা।

এখন দেখার বিষয়, খেলা শুরুর পর এই জুটি কতদূর টেনে নিতে পারেন শান্ত ও মুমিনুল।

বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর এনাউচি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ