Samakal:
2025-12-09@03:10:40 GMT

রিসার্চ পেপার কোথায় খুঁজবেন

Published: 20th, April 2025 GMT

রিসার্চ পেপার কোথায় খুঁজবেন

রিসার্চ পেপার বা গবেষণাপত্র হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপরে করা বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। কোনো বিষয়ে নতুনত্ব আনার জন্য গবেষণা করা হয়। বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান করাই হলো গবেষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য। থিসিস পেপার ও রিসার্চ পেপারের মধ্যে পার্থক্য হলো রিসার্চ পেপার নিজ উদ্যোগে করা হয়। এর জন্য কোনো সুপারভাইজার বা কমিটির দরকার নেই। 
স্নাতক পর্যায়েই রিসার্চ পেপারের কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত। কারণ, বিদেশে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার জন্য গুণগত গবেষণাপত্রের গুরুত্ব অনেক। আর কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করলে আপনার গবেষণাপত্র লেখার কাজ আরও সহজ হয়ে যায়। আপনি যদি কোনো গবেষণাপত্র লিখতে চান, তাহলে এর জন্য আপনার কিছু টুলস লাগবেই
সঠিক রিসার্চ পেপার খুঁজে পাওয়া অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। এ টুলগুলো সে কাজ সহজ করে।
Semantic Scholar
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম, যা ২০০ মিলিয়নের বেশি রিসার্চ পেপারে অ্যাকসেস দেয়। এখানে দ্রুত সার্চ করে, পেপারের সামারি পড়ে রেফারেন্সসহ সংগ্রহ করতে পারবেন।
Smart Search
বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেস স্ক্যান করে আপনার গবেষণার বিষয় অনুযায়ী সেরা কনটেন্ট সাজেস্ট করে।
Insight dev
মেডিকেল গবেষণায় প্রয়োজনীয় হাইপোথিসিস, সামারি ও এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইন সাজাতে সাহায্য করে।
Consensus / R Discovery / Scinapse যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা গবেষণার বিষয়ে তথ্য চান, তাহলে এ টুলগুলো AI ব্যবহার করে সরাসরি পেপার থেকে উত্তর দেয়।
লিটারেচার ম্যাপিং (Literature Mapping)
গবেষণার তথ্য একে অপরের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত, তা চিত্রায়ণের জন্য দরকার হয় লিটারেচার ম্যাপিং।
Research Rabbit
আপনি যে পেপারটি পড়ছেন, সেটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আরও পেপার, লেখক বা বিষয়গুলোকে চেইনের মতো দেখায়।
Inciteful
বিভিন্ন পেপার কীভাবে একে অপরকে উদ্ধৃত বা সম্পর্কযুক্ত করেছে, তা তুলনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করে।
Open Knowledge Map
একটি টপিক দিলে সেটার সঙ্গে সম্পর্কিত পুরো জ্ঞানের মানচিত্র (knowledge map) তৈরি করে দেয়।
VOS Viewer
বিখ্যাত সাইটেশন সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন গবেষণার মধ্যকার সাইক্রোমেট্রিক সংযোগ দেখায়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বছরের পুরোনো সেই দানব ফিরল পর্দায়, কেমন হলো ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’

তাঁর সিনেমায় দানব থাকে, তবে গিয়ের্মো দেল তোরোর দর্শকমাত্রই জানেন এই দানব হয় অন্য রকম। এই দানব শুধু ভয় দেখায় না, বরং অনেক বেশি মানবিক। ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ দেল তোরোর স্বপ্নের প্রকল্প; বহু বছর ধরে মেরি শেলির উপন্যাসকে পর্দায় নিয়ে আসতে চান তিনি। দুই শ বছরের বেশি সময় আগে লেখা উপন্যাসটি থেকে দুনিয়ার নানা প্রান্তে এন্তার সিনেমা-সিরিজ, কমিকস হয়েছে; তবু দেল তোরো নিজের ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ বানাতে মরিয়া ছিলেন। ‘আমি স্বপ্ন দেখি সর্বকালের সেরা “ফ্রাঙ্কেনস্টাইন” বানাতে পারি, কিন্তু তৈরি করলেই তা শেষ হয়ে যায়। সেটা ভালো হোক বা না হোক; আর স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই। এটাই নির্মাতার ট্র্যাজেডি,’ বহু বছর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন অবশেষে বাস্তব হলো, গত ৭ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে গথিক হরর সিনেমার এই ওস্তাদ নির্মাতার ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’।

একনজরে
সিনেমা: ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’
ধরন: গথিক সায়েন্স-ফিকশন
পরিচালনা: গিয়ের্মো দেল তোরো
অভিনয়: অস্কার আইজ্যাক, জ্যাকব এলর্ডি, মিয়া গথ, ফেলিক্স কামারার ও ক্রিস্টফ ভালৎজ
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

সিনেমাটি তিনটি অংশে বিভক্ত—শুরুর বয়ান, ভিক্টরের গল্প আর মনস্টারের গল্প। একুশ শতকের এই সিনেমা দু শ বছর আগে লেখা মূল গল্পের কাছাকাছি থেকেও নতুনত্ব তৈরি করেছে। মেসি শেলির উপন্যাস ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, সিনেমার সময়কাল ১৮৫৭; লেখকের মৃত্যুর কিছু বছর পর। ভিক্টোরিয়ান যুগে গল্পকে স্থান দেওয়ায় তা বর্তমান দর্শকের কাছে পরিচিত প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।

সিনেমার শুরু হয় আর্কটিক অঞ্চলে, যেখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি একে অপরের শিকার হয়ে চলেছেন। কিন্তু দেল তোরো সেটা যেভাবে দেখিয়েছেন তা কেবল চমকপ্রদ আর ভয়ানকই নয় বরং হৃদয়বিদারক। দেল তোরো মনস্টারকে একধরনের অতিপ্রাকৃত রূপ দিয়েছেন। একটু পরে মনস্টার নিজেই যখন তাঁর জীবনের গল্প বলা শুরু করে; সিনেমা নতুন রূপ পায়।

‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’–এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ