Samakal:
2025-12-12@08:21:25 GMT

রিসার্চ পেপার কোথায় খুঁজবেন

Published: 20th, April 2025 GMT

রিসার্চ পেপার কোথায় খুঁজবেন

রিসার্চ পেপার বা গবেষণাপত্র হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপরে করা বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। কোনো বিষয়ে নতুনত্ব আনার জন্য গবেষণা করা হয়। বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যার সমাধান করাই হলো গবেষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য। থিসিস পেপার ও রিসার্চ পেপারের মধ্যে পার্থক্য হলো রিসার্চ পেপার নিজ উদ্যোগে করা হয়। এর জন্য কোনো সুপারভাইজার বা কমিটির দরকার নেই। 
স্নাতক পর্যায়েই রিসার্চ পেপারের কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত। কারণ, বিদেশে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার জন্য গুণগত গবেষণাপত্রের গুরুত্ব অনেক। আর কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করলে আপনার গবেষণাপত্র লেখার কাজ আরও সহজ হয়ে যায়। আপনি যদি কোনো গবেষণাপত্র লিখতে চান, তাহলে এর জন্য আপনার কিছু টুলস লাগবেই
সঠিক রিসার্চ পেপার খুঁজে পাওয়া অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। এ টুলগুলো সে কাজ সহজ করে।
Semantic Scholar
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম, যা ২০০ মিলিয়নের বেশি রিসার্চ পেপারে অ্যাকসেস দেয়। এখানে দ্রুত সার্চ করে, পেপারের সামারি পড়ে রেফারেন্সসহ সংগ্রহ করতে পারবেন।
Smart Search
বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেস স্ক্যান করে আপনার গবেষণার বিষয় অনুযায়ী সেরা কনটেন্ট সাজেস্ট করে।
Insight dev
মেডিকেল গবেষণায় প্রয়োজনীয় হাইপোথিসিস, সামারি ও এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইন সাজাতে সাহায্য করে।
Consensus / R Discovery / Scinapse যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা গবেষণার বিষয়ে তথ্য চান, তাহলে এ টুলগুলো AI ব্যবহার করে সরাসরি পেপার থেকে উত্তর দেয়।
লিটারেচার ম্যাপিং (Literature Mapping)
গবেষণার তথ্য একে অপরের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত, তা চিত্রায়ণের জন্য দরকার হয় লিটারেচার ম্যাপিং।
Research Rabbit
আপনি যে পেপারটি পড়ছেন, সেটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আরও পেপার, লেখক বা বিষয়গুলোকে চেইনের মতো দেখায়।
Inciteful
বিভিন্ন পেপার কীভাবে একে অপরকে উদ্ধৃত বা সম্পর্কযুক্ত করেছে, তা তুলনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করে।
Open Knowledge Map
একটি টপিক দিলে সেটার সঙ্গে সম্পর্কিত পুরো জ্ঞানের মানচিত্র (knowledge map) তৈরি করে দেয়।
VOS Viewer
বিখ্যাত সাইটেশন সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন গবেষণার মধ্যকার সাইক্রোমেট্রিক সংযোগ দেখায়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা নদীর এক কাতলা বিক্রি হলো লাখ টাকায়

পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়া প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জে পদ্মা নদী থেকে ওই মাছ কিনে নেন এক ব্যবসায়ী। পরে তিনি মাছটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার এক সৌদি আরবপ্রবাসীর কাছে বিক্রি করেন।

এর আগে আজ ভোরের দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা এলাকায় পদ্মা নদীতে মন্টু হালদারের চাপ জালে মাছটি ধরা পড়ে। মন্টুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।

কয়েকজন মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলে মন্টু হালদার ও তাঁর দল চাপ জাল ফেলেন। আজ ভোরের দিকে জালে প্রচণ্ড রকমের ঝাঁকি দিলে তাঁরা বুঝতে পারেন বড় কিছু আটকা পড়েছে। দ্রুত জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বিশাল আকারের এক কাতলা।

মাছটি বিক্রির জন্য তাঁরা যোগাযোগ করতে থাকেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এ সময় দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়। খবর পেয়ে শাহজাহান শেখ নদীতে জেলেদের কাছে যান। এ সময় জেলে মন্টু হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দরদাম শেষে কাতলাটি কেনেন। পরে মাছটি তিনি তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আনেন।

আজ দুপুরে ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, ‘আজ সকালে বিশাল আকারের একটি কাতলা মাছ পদ্মা নদীতে ধরা পড়ার খবর পাই। পরে মন্টু হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। নদীতে তাঁর নৌকায় গিয়ে মাছটি দেখতে পাই। দরদাম করে প্রতি কেজি ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় কিনে নিই। কাতলাটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি। এত বড় কাতলা মাছ আমার জানা মতে এই মৌসুমে তেমন ধরা পড়েনি।’

শাহজাহান শেখ আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার এক সৌদি আরবপ্রবাসী ভাই বড় কাতলা মাছের অর্ডার দিয়েছিলেন। পরে ওই প্রবাসী ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। নগদ টাকা হাতে পাওয়ার পর মাছটি সকালেই কুষ্টিয়ায় পাঠিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ