হাজীগঞ্জ এম সার্কাস-আইটি স্কুল সড়ক সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ
Published: 21st, April 2025 GMT
চাষাড়া টু আদমজী প্রধান সড়কের হাজীগঞ্জ এম সার্কাস হইতে আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত এ অংশটুকু দীর্ঘ প্রায় ১ বছর যাবৎ সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।
দীর্ঘ প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সংস্কারে নেই কোন উদ্যোগ। দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই হাত,পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে বসে আছে বলে সাধারণ পথচারীদের কাছ থেকে এমনটাই তথ্য পাওয়া যায়।
খবর নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ হইতে আদমজী এ সড়কটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো এবং ব্যস্ততম সড়ক। এ সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, বিবি মরিয়ম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সহ অনেক সরকারি বেসরকারি খ্যাতিসম্পন্ন আবাসন,ধর্মীয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠান।
প্রতিনিয়তই যাতায়াত করেন শত শত শিক্ষার্থী, হাজার হাজার শ্রমিক ও লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিসহ গর্ভবতী মহিলারা। বেহাল এ অংশটুকু সংস্কার না হওয়ায় সকল মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খানাখন্দে এবড়ো থেবড়োতে পরিনত হওয়ায় প্রতিনিয়তই মানুষকে দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে পরিবহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় গাড়ি সড়কে থেমে যায় ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানা যায়।
অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, যারা দ্বায়িত্বে আছেন তারা তো চেয়ার থেকে উঠে রাস্তা ঘাটের কোন খোঁজ খবর নেন না, তারাতো দামী গাড়ি হাকিয়ে চলে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বুজবার মতো তাদের মনমানসিকতা নেই। যদি থাকতো তা হলে দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার এ বেহাল অবস্থা দেখে মেরামত করার উদ্যোগ নিতো।
সড়কের এমন বেহাল অবস্থা দেখে এ বিষয়ে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপ - বিভাগ ১ এর মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ্ মজুমদার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ অংশ টুকু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর অধিনে থাকায় আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি এবং সিটি কর্পোরেশন সংস্কার করবে বলে আমরা কোন পদক্ষেপ নেই নি। তবে তারা না করলে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আমরা মিটিং এ আলোচনা করেছি এবং যতদ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সাধারণ পথচারীদের দাবি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে পথচারীদের সড়ক দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা হোক এবং চলাচল ব্যবস্থা নিরাপদ করুন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ দ র ঘটন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।