‘টোয়ালাইট’ অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট বিয়ে করেছেন। গত ১৯ এপ্রিল তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী এবং চিত্রনাট্যকার ডিলান মেয়ারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে টিএমজেড। সূত্র অনুসারে, স্টুয়ার্টের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেছেন। বাগদানের ঘোষণা দেওয়ার চার বছর পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।  

জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে আদালত থেকে এই দম্পতি তাদের বিয়ের লাইসেন্স পেয়েছেন। স্টুয়ার্টের বাসভবনে তার পরিবার এবং বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

নবসম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ছবিতে মেয়ারকে সাদা পোশাকে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে স্টুয়ার্টকে ধূসর পোশাকে দেখা যাচ্ছে। একটি ছবিতে ‘স্পেন্সার’ তারকা মেয়ারের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন।

এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে, স্টুয়ার্ট একটি সাক্ষাৎকারে মেয়ারের সাথে তার বাগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ‘টোয়াইলাইট’ সিরিজে তার দুর্দান্ত অভিনয়ের পর ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট একটি পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। তিনি তার সহ-অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। চার বছর ডেটিং করার পর দু’জন আলাদা হয়ে যান। তিনি পরিচালক রুপার্ট স্যান্ডার্সের সাথেও ডেট করেছিলেন।

২০১৭ সালে, স্টুয়ার্ট উভকামী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন।  ২০১৯ সালে তা ডিলান মেয়ারের সাথে সম্পর্ক শুরু করেন এবং দু’জনেই ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইনস্টাগ্রামে তাদের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন। এই দম্পতি ২০২১ সালে বাগদান সারেন এবং এখন তারা সারাজীবন একসাথে থাকার শপথ নিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’