নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, তাই ষড়যন্ত্র চলছে: সালাউদ্দিন
Published: 22nd, April 2025 GMT
এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। তাই দলটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তারা ফ্যাসিবাদীদের দোসর।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা প্রশিক্ষণবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সুলতান সালাউদ্দিন। দিনব্যাপী এ কর্মশালা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে। এতে জেলা বিএনপির ১১টি অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১১টি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
একটি রাজনৈতিক দলকে ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলেন, নতুন যে দল গঠন করা হয়েছে, সেটি ইতিমধ্যে লুটপাটের দল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। জনগণের আস্থা অর্জন সহজ কাজ নয়। আর অন্তর্বর্তী সরকার যাতে বেশি দিন থাকতে পারে, সে চেষ্টাও করছে দলটি।
বিএনপির ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান। ৩১ দফার ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা—সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য মোর্শেদ হাসান খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।