পাঁচতলা বাড়ির মালিকও টিসিবির কার্ড পেয়েছিলেন: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 23rd, April 2025 GMT
পাঁচতলা বাড়ি আছে—এমন লোকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছিলেন। এমনকি প্রশাসনে কাজ করা একজনের বাড়িতেও ছিল তিনটি কার্ড। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে এমন তথ্য পেয়েছেন বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বুধবার ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে ‘টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। টিসিবি আয়োজিত ‘কোটি মানুষের পাশে’ শীর্ষক এই সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দুই পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার। প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় ছাত্র প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ এতে স্বাগত বক্তব্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী সমাপনী বক্তব্য দেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগস্ট বিপ্লবের আগে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি টিসিবি। এক কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারী কমানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনের ওপর আস্থা কখনোই আসবে না, যখন মানুষ দেখবে যে সবকিছুতে আছে দুর্বৃত্তায়ন। সে জন্য আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের করে সঠিক পর্যায়ে আনতে চাই।’
বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার যে কেনাকাটা করে টিসিবি তাতে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়—এ তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা অনেক দুর্বৃত্ত তৈরি করেছে। এ ব্যবস্থা থেকে আমরা সরে আসতে চাই। এখন থেকে নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই কার্ড পাবে।’
ভর্তুকি মূল্যে ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদির পাশাপাশি কার্ডধারী পরিবারকে ভবিষ্যতে সাবানও দেওয়া হবে বলে জানান টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ