বরেন্দ্র জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা শরৎকুমার রায়ের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত
Published: 23rd, April 2025 GMT
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুমার শরৎকুমার রায়ের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কুমার শরৎকুমার রায় ১৮৭৬ সালের ২২ এপ্রিল নাটোরের দিঘাপতিয়ার রাজবাড়িতে (বর্তমানে উত্তরা গণভবন) জন্মগ্রহণ করেন।
জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম, মাহমুদ জামাল কাদরী, কবি মোস্তাক রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক উদয় শঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তাঁর বক্তব্যে বলেন, শরৎকুমার রায় যে কাজ করেছেন, তা কালোত্তীর্ণ। সময়কে অতিক্রম করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই জাদুঘর একটি বিশাল সম্পদ। আমরা ঠিকমতো সদ্ব্যবহার করতেই পারছি না।’
অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, জাদুঘরকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট করতে চায়; যেখানে প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস গবেষণা, প্রাচীন শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা হবে।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক কুমার শরৎকুমার রায়ের শিক্ষা ও কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত সুধীজন কুমার শরৎকুমার রায়ের অবদান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। কবি মোস্তাক রহমান বলেন, এ রকম একজন আলোকিত মানুষের নামে রাজশাহী অঞ্চলে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। তাঁকে মূল্যায়ন করতে হলে অন্তত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল অথবা প্রস্তাবিত কোনো একটি ইনস্টিটিউট তাঁর নামে করা উচিত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন জ দ ঘর রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।