কাঠগড়ায় কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
Published: 24th, April 2025 GMT
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির আগে আদালতের কাঠগড়ায় কেঁদেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে শুনানি হয়।
এদিন সকালে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়। তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম আদালতকে বলেন, ‘তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি কিছু বলতে চান।’ বিচারকের অনুমতি নিয়ে তুরিন বলেন, ‘কোনোকালে আমার রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিল না। আমি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। পায়ের ব্যথার কারণে হাঁটতে পারি না। রিমান্ডের সময় আমার পায়ে আঘাত করা হয়েছিল।’ এ সময় তিনি ফুপিয়ে কাঁদতে থাকেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘তুরিন আফরোজ মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’ এ সময় তুরিন পায়ে নির্যাতনের চিহ্ন বিচারককে দেখান। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ন আফর জ
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।