দেশের ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের সঙ্গে শরিয়াহ পরামর্শ প্রতিষ্ঠান আইএফএ কনসালট্যান্সি লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ইসলামি অর্থায়ন ও শরিয়াহসম্মত আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে তারা এই স্মারক সই করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটি যেসব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবে, সেগুলো হলো ইসলামি আর্থিক পণ্য নিয়ে গবেষণা, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের শরিয়াহ পর্যালোচনা, পুঁজিবাজারের জন্য শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজ সূচক তৈরি, করপোরেট গ্রাহকদের জন্য পেশাগত জাকাত হিসাব সেবা, ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা, ইসলামি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্যের উদ্ভাবন ও নির্দেশিকা তৈরি।

এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে ইসলামি অর্থায়নের নৈতিকতা ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা, যাতে আর্থিক পণ্য ও সেবাগুলো আন্তর্জাতিক শরিয়াহ মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এ–সংক্রান্ত চাহিদা পূরণ করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ