পিএসসি সংস্কার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল শিক্ষার্থী প্রায় ১ ঘণ্টা রেললাইন ব্লকেড করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাবি স্টেশন সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন ব্লক করেন আন্দোলনকারীরা। 

এতে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাবি স্টেশনে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষমান থাকে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ, সদস্য সচিব আল শাহরিয়া শুভ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ আলভি। 

কর্মসূচিতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, আমরা পিএসসি বাতিল নয়, প্রতিষ্ঠানটির সংস্কার চাইছি। বিগত দিনে যারা প্রশ্নফাঁস চক্রান্ত জড়িত ছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং বিসিএস পরীক্ষার সময়ের বিলম্ব দূর করে রুটিন অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পিএসসি সংস্কার নিয়ে একটি কথা সামনে এসেছে। আমরা দেখেছি আবেদালি গ্যাং এর মাধ্যমে কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পিএসসির প্রশ্নফাঁসকারীরা দেশে আছে। আমরা এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, যারা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ছিল অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি ঢাবি কেন্দ্রীকতার কারণে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই, সামনের পিএসসি সংস্কারে প্রত্যকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসস প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ