ওয়ালটনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন
Published: 28th, April 2025 GMT
আজ ২৮ এপ্রিল, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের অঙ্গীকার’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করেছে দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল সচেতনতামূলক র্যালি, আলোচনা সভা, মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্নেস ট্রেইনিং, আইডিয়া শেয়ারিং, গণসচেতনতা ও স্লোগান কনটেস্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, লাইভ সেভিং কার্ড বিতরণ ইত্যাদি।
সোমবার সকালে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫’ উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তার উপস্থিতিতে কর্মীদের মাঝে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়। এরপর পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় মোহাম্মদ ইউসুফ আলী শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, নিরাপত্তা একটি বিশেষ ক্ষেত্রের মেধাবী সংস্কৃতি, যা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এটি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান অংশ হয়ে ওঠে এবং এটা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দ্বারা অর্জিত হয়। এ দায়িত্ব শুধু একটি বিভাগের ওপর নয়, বরং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জন করতে হবে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর প্রতিক কুমার মোদক বলেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে প্রতিদিন নিজের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে সচতনতার মাধ্যমেই সামষ্টিক উন্নয়ন হবে।
আলোচনা সভায় ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো.
আলোচনা সভায় সেফটি কমিটির পক্ষে শ্রমিক প্রতিনিধি ও টিম লিডার মো. আব্দুর রহিম বলেন, “আমরা একটি নিরাপদ ওয়ালটন বজায় রাখতে চাই। আমরা আরো সচেতন হব এবং আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তা করব। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, কর্মক্ষেত্র আরো নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন—ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের ফিন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. নিজাম উদ্দীন মজুমদার, প্রশাসন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল হাসান, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কাউসার আহাম্মেদ চৌধুরি, সিকিউরিটি হেড অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, টিভি প্রডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) কাজি মো. হাসিবুল হক, এসি প্রডাক্টের ডেপুটি সিবিও শামীম আহাম্মেদ, ইএপি সিসিও (চিফ কোয়ালিটি অফসার) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জেনারেল অ্যাডমিনের নাজমুস সাদায়াত, ওয়ালটন ডিজি-টেক কর্পোরেশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বিবেকানন্দ সরকার, ওয়ালটন মেডিক্যাল সেন্টারের ইনচার্জ ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন লেলিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এছাড়াও ইএইচএস বিভাগের সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মাহফুজ হোসেন, মো. রায়হান, ফায়ার সেফটি ইনচার্জ ইশাদুল ইসলাম, ইটিপি ইনচার্জ মো. তাজমীর হাসান, পিসিএম ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম, ইএইচএস বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী কমিটি ও সেফটি কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিসহ আরো অনেক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইএইচএসের বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।
ঢাকা/একরাম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত অন ষ ঠ ন ল ইসল ম ব যবস থ ইনচ র জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জমকালো আয়োজনে ওয়ালটনে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন
১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’ বা ‘বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম’।
এ প্রতিপাদ্য ওজোন স্তর সুরক্ষার যাত্রাকে তুলে ধরে, যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং মন্ট্রিল প্রটোকলের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক পদক্ষেপে পরিণত হয়েছে। এটি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সাফল্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
নানা আয়োজনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন করা হয়েছে।
বর্ণাঢ্য র্যালি ও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণ। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজুসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
র্যালি শেষে আলোচনা সভা করা হয়। এতে ওজোন স্তর সুরক্ষায় করণীয় ও ওয়ালটনের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেছেন, “প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস। এ দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো—আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করা এবং ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২৫ এর প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’। এটি কেবল একটি শ্লোগান নয়, বরং মানবজাতির সম্মিলিত সাফল্যের একটি প্রতিচ্ছবি, যেখানে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার পথ দেখিয়েছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় সেই পথে ঐক্যবদ্ধভাবে হেঁটেছে।”
তিনি ওজোন স্তরকে রক্ষা করতে ওয়ালটনের নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবগত করেন। এরকম সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের জন্য ইএইচএস বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর প্রতিক কুমার মোদক বলেন, “ওজোন স্তর হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত। এটি তিনটি অক্সিজেন পরমাণু (O3) নিয়ে গঠিত একটি গ্যাসীয় স্তর। ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি (UV) রশ্মির প্রায় ৯৭-৯৯ শতাংশ শোষণ করে নেয়। এই রশ্মি যদি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছাত, তবে তা মানব স্বাস্থ্য (ত্বকের ক্যান্সার ও ছানি), উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতো। ওজোন স্তর তাই পৃথিবীর জন্য একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। ওয়ালটন কতটুকু পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য উৎপাদন করে, সেটার সাথে আপনারা কম-বেশি সবাই পরিচিত। একে অপরের সাথে এ বিষয়ে সমন্বয়ের উদ্দেশ্যেই মূলত আজকের এই আয়োজন।"
ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “ওয়ালটন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থ যেমন: ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs) এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HCFCs) এর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে, আমরা এমন রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করছি, যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপরও কম প্রভাব ফেলে। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্টগুলো এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নের সম্পর্কে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।”
ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিকল্পনা সম্পর্কে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে এমন নতুন শীতলীকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব, যা পরিবেশের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ওজোন স্তর এবং সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এসি প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর শামিম আহমেদ, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ আবদুল্লাহ রাজু, ফাস্টেনার প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (ডিসিবিও) আলমগির হোসেন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মো. কাওসার উদ্দীন চৌধুরী, রেফ্রিজারেটর উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মো. নাসির উদ্দীন, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোহন কুমার পাল, মোবাইল উৎপাদন বিভাগের প্রধান মো. মনির হোসেন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. কামরুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান টি এম জাকির হোসাইন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান (এসি) আরিফুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (ইএপি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (এসি) মো. আসিব-উল-হক ভূঁইয়া, সিকিউরিটি সেকশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের মো. গোলাম রাব্বানি, ইএইচএস বিভাগের ব্লক কো-অর্ডিনেটর এবং ইনচার্জগণসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ইএইচএস টিম, ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স। উপস্থিত অতিথিদের মাঝে ‘লাইফ সেভিং কার্ড‘ বিতরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
ঢাকা/রফিক