হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করায় আনন্দ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় শেষে বের হওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মাধবপুর পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা ছিল। সভায় আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান। এ খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে। তাঁরা পুলিশকে চাপ দেন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে। পরে উপজেলা সমন্বয় সভা শেষ করে বের হলে আতিকুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাধবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খান ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল করা হয়। মিছিল থেকে আতিকুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

বিএনপি নেতা গোলাপ খান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান এলাকার মানুষ‌কে নানাভা‌বে নির্যাতন ক‌রে‌ছেন। বি‌শেষ ক‌রে বিএন‌পির নেতা-কর্মীরা এই নির্যাত‌নের শিকার হয়েছেন। তাঁর বিচার চান এলাকার মানুষ। তাঁকে গ্রেপ্তার করায় আমরা অনেক খুশি। যে কার‌ণে এই আনন্দ মি‌ছিল ক‌রি আমরা।’

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিনটি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর নেতৃত্বে উপজেলার নানা স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মাধবপুর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। মাধবপুর থানার মামলায় তিনি জামিনে থাকলেও অন্য দুই মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আনন দ ম ছ ল ম ধবপ র য় ব এনপ উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ