মাধবপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
Published: 28th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করায় আনন্দ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় শেষে বের হওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মাধবপুর পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা ছিল। সভায় আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান। এ খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে। তাঁরা পুলিশকে চাপ দেন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে। পরে উপজেলা সমন্বয় সভা শেষ করে বের হলে আতিকুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাধবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খান ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল করা হয়। মিছিল থেকে আতিকুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতা গোলাপ খান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান এলাকার মানুষকে নানাভাবে নির্যাতন করেছেন। বিশেষ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁর বিচার চান এলাকার মানুষ। তাঁকে গ্রেপ্তার করায় আমরা অনেক খুশি। যে কারণে এই আনন্দ মিছিল করি আমরা।’
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিনটি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর নেতৃত্বে উপজেলার নানা স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মাধবপুর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। মাধবপুর থানার মামলায় তিনি জামিনে থাকলেও অন্য দুই মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আনন দ ম ছ ল ম ধবপ র য় ব এনপ উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক
একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।
যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষকচৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।
যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।
তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।
দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী