কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে ‘ম্যানেজারস মিট ও বিজনেস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দেশজুড়ে কমিউনিটি ব্যাংকের ১৮টি শাখা ও ৫টি উপশাখার ব্যবস্থাপকরা দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাদাত। অনুষ্ঠানে আসা ব্যবস্থাপকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি কিমিয়া সাদাত। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন এবং আগামী দিনের শৃঙ্খলা, উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সেবা এবং গ্রাহকসেবার লক্ষ্যস্থির করে তা অর্জনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন। আগত সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতেও তাদের কাজের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনাও দেন কিমিয়া সাদাত।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মো.

আবদুল কাইয়ুম খান, কোম্পানি সেক্রেটারি সাইফুল আলম, ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (আইসিসি) হেড মোহাম্মদ খাইরুল আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডিস কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমানসহ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ হ ড অব অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামের এক তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে আহত রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সঙ্গে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো. আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো. জসিম উদ্দিন (৪৪)। তাঁরা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খুরশিদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিঅ্যান্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মো. সানি (২০) ও একই পাড়ার মো. জিসানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে ঝগড়ার সময় সানি জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ সালিস ডাকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তাঁর লোকজন ও জিসানসহ তাঁর লোকজন সালিসে বসেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি সানির পক্ষের সমর্থক। তবে সালিসের রায়ে সানি ও তাঁর লোকজন সম্মত হননি। সালিস ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তাঁর লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে জিসান বন্দুক বের করে গুলি করেন। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় সানি আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, তরুণের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে গুলি লেগেছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ