ওসমান দেম্বেলে আবারও দেখিয়ে দিলেন, কেন বার্সেলোনায় ব্যর্থ হওয়ার পরও তার উপরেই আস্থা রেখেছিলেন পিএসজি বস লুইস এনরিকে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামের দর্শকরা নিজেদের চেয়ারে ঠিকঠাক বসার আগেই স্তব্ধ হয়ে যায় দেম্বেলের গোলে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে সেই গোলটাই ম্যাচ জিতিয়েছে পিএসজিকে। অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে খানিকটা এগিয়ে গেল প্যারিসের জায়ান্টরা।

দেম্বেলের সাথে আরেকজন এই ম্যাচ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এই ইতালিয়ান বীরত্বের সাথে আর্সেনালের পাঁচটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গানাররা যে দাপট দেখিয়েছিল, তার ছিটেফোঁটাও গতরাতে দেখা যায়নি। সবকিছুতেই লন্ডনের ক্লাবটির চেয়ে এগিয়ে ছিল এন্রিকের শিষ্যরা।

আরো পড়ুন:

মার্তিনেজদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

‘ভিলা পার্ককে আমাদের দুর্গে পরিণত করার চেষ্টা করব’

ঘরের মাঠে আর্সেনাল কিছু বুঝার আগেই গোলটা হজম করে ফেলে। দেম্বেলের জয়সূচক গোলের কৃতিত্বটা শীতকালীন দলবদলে পিএসজিতে যোগ দেওয়া উইঙ্গার খিচা কাভারাস্কেইয়ার। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে বক্সে ঢুকে পড়েন এই জর্জিয়ান। এরপর আর্সেনালের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে খুঁজে নেন দেম্বেলেকে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড বল না থামিয়েই শট নেন। সেটাই আর্সেনাল গোলকিপার দাভিদ রায়াকে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাইমলাইটে ডেকলান রাইস। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের সেট পিস থেকে হেডে পিএসজির জালে বল পাঠিয়েছিলেন মিকেল মেরিনো। দল সমতা ফিরিয়েছে ভেবে চিৎকারে ফেটে পড়ে এমিরেটস। তবে ভিএআরে দেখা যায় বলে হেড করার আগে মেরিনো অফসাইডে ছিলেন, তাই গোলটাও বাতিল।

সমতায় ফিরতে এরপরও কয়েকটি জোরালো আক্রমণ শানিয়েছেন লিয়ান্দ্রো ত্রোসার, বুকায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিরা। কিন্তু দোন্নারুম্মা চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেষদিকে পিএসজি গোলের ব্যবধান বড় করার সুযোগ হারায় ব্রাডলি বারকোলা ও গোনজালো রামোসের মিসে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। 

আগামী বুধবার নিজেদের মাঠ প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে ফিরতি লেগে হার এড়ালেই পাঁচ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে যাবে পিএসজি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল আর স ন ল ফ ইন ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ