সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। বিদেশে ট্যুর করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। আজ বুয়েট ক্লাবের একটি আয়োজনে গান গাওয়ার কথা ছিল তার। তবে অনুষ্ঠানের আগে জানতে পারেন শিল্পী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে গান না গাওয়ার কথা জানিয়ে দেন আয়োজকরা। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ন্যান্সি নিজেই।

বুধবার বিকেলে ন্যান্সি বলেন, ‘আজকে সন্ধ্যায় বুয়েট ক্লাব আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আমার গান পরিবেশন করার কথা। গতরাতে জানতে পারি আমাকে শিল্পী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ 

কারণ হিসেবে আয়োজকরা এই শিল্পীকে জানায়, বুয়েট ক্লাবের সভাপতি পদপ্রার্থী তাদের (আয়োজকদের) জানিয়েছে, রাজনৈতিক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে শিল্পীদের নামের তালিকা দেখে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন কোনো শিল্পী অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তাঁরা অনুষ্ঠান বয়কট করবে। ন্যান্সিকে এটি জানানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে।

প্রশ্ন তুলে ন্যান্সি বলেন, ‘বুয়েট ক্লাবের সদস্যরা কি হঠাৎ করেই আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ জানতে পারলেন? রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে কি এভাবে একজন শিল্পীকে অসম্মান করা যায়? আমি কি যেচে অনুষ্ঠানটি করতে চেয়েছিলাম, নাকি আপনারা অতি আগ্রহী ছিলেন? বুয়েট পরিবার পরিচয়ে কোনো অগ্রিম সম্মানি না দিয়ে অযৌক্তিক অজুহাতে অনুষ্ঠান বাতিল কি কোনো প্রফেশনাল আচরণের মধ্যে পড়ে?’

বিষয়টি নিয়ে আয়োজক সংগঠনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ