মাত্র তিন দিনে নেটফ্লিক্সের তালিকার শীর্ষে
Published: 30th, April 2025 GMT
মুক্তির পরপরই আলোচনার ঝড় তুলেছে ‘উইক হিরো ক্লাস টু’। সিরিজটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকেরা। নেটফ্লিক্সের তালিকায়ও দর্শকের উন্মাদনার ঢেউ লেগেছে। মুক্তির মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে নেটফ্লিক্সের অ–ইংরেজিভাষী সিরিজের তালিকার শীর্ষে উঠেছে সিরিজটি। খবর কোরিয়া টাইমসের।
নেটফ্লিক্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট টুডুম জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সিরিজটি ৬ দশমিক ১ মিলিয়নেরও বেশিবার ভিউ হয়েছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সিরিজটি তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। মুক্তির পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার তালিকায় শীর্ষে ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও সিরিজটি ব্রাজিল, মেক্সিকো, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, মরক্কো, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ মোট ৬৩ দেশের শীর্ষ দশের তালিকায় রয়েছে।
‘উইক হিরো ক্লাস টু’ নিয়ে উন্মাদনার মধ্যে ‘উইক হিরো ক্লাস ওয়ান’ও দেখছেন দর্শকেরা। সিরিজের প্রথম মৌসুমও বৈশ্বিক তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে।
‘উইক হিরো ক্লাস টু’–এ মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্ক জি হুন, ইউন সি ইউন নামের এক চরিত্রে পাওয়া গেছে তাঁকে। পার্কের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন অনেকে। পার্ক ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন রিয়ো উন, চোই মিন-ইয়ং, ইউ সু-বিন এবং লি জুন-ইয়ং।
আরও পড়ুনঈদের ছুটিতে দেখে নিতে পারেন আলোচিত ৫ কোরিয়ান সিরিজ২৩ এপ্রিল ২০২৩.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মহাকাশে গিয়েছিল লাইকা
১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বরকে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এদিন তাদের দ্বিতীয় মহাকাশযান ‘স্পুটনিক ২’ উৎক্ষেপণ করে। সেই মহাকাশযানে করে লাইকা নামের একটি কুকুর মহাকাশ ভ্রমণ করেছিল। লাইকা ছিল মহাকাশে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম প্রাণী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৫০ দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মহাকাশে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের প্রতিযোগিতা চলছিল। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর স্পুটনিক ১ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বকে চমকে দেয়। এর পরপরই স্পুটনিক ২ দ্রুত তৈরি করে দেশটি। এই মহাকাশযানের মাধ্যমে মানুষের আগে প্রাণীকে মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশে বাঁচানো সম্ভব কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষা ছিল ভবিষ্যতে মানুষের মহাকাশযাত্রার জন্য অপরিহার্য।
লাইকা ছিল মস্কোর রাজপথ থেকে ধরে আনা একটি মিশ্র জাতের স্ত্রী কুকুর। মূলত তার শান্ত স্বভাব, ছোট আকার ও প্রশিক্ষণে টিকে থাকার কারণে তাকে বেছে নেওয়া হয়। লাইকাকে একটি বিশেষ চেম্বারে বসে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। হৃৎস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরিমাপের জন্য তার শরীরে যুক্ত ছিল একাধিক সেন্সর। সেই সময়ে মহাকাশযানকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার কোনো প্রযুক্তি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে ছিল না। আর তাই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম প্রাণী লাইকা মহাকাশে থাকা অবস্থাতেই মারা যায়।
১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বর লাইকাকে বহন করা স্পুটনিক ২ মহাকাশযান কাজাখস্তান থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন, লাইকা কয়েক দিন কক্ষপথে বেঁচে ছিল। কয়েক দশক পরে ২০০২ সালে, রাশিয়ার বিজ্ঞানী দিমিত্রি মালাশেনকভ প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেন। উৎক্ষেপণের সময় তীব্র শব্দ এবং কম্পনের কারণে লাইকা আতঙ্কিত হয়ে যায়। মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছানোর পরপরই তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে কেবিনের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে যায়। অতিরিক্ত চাপ ও তাপে উৎক্ষেপণের মাত্র পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা পরেই লাইকা মারা যায়।
লাইকার মহাকাশযাত্রা একাধিক কারণে মানব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। স্পুটনিক ২ উৎক্ষেপণ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেও, লাইকার মৃত্যু বিশ্বের দরবারে দেশটিকে সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছিল।
সূত্র: সায়েন্স ২০ ডটকম