বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি ২০টি পদে মোট ৩৯ জনকে নিয়োগে প্রকাশ করা হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শূন্য পদে অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল থেকে।

পদের নাম ও পদসংখ্যা

১. সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

২.

সহকারী পরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা)

পদসংখ্যা: ৪

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩ ০৬০ টাকা

৩. সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল)

পদসংখ্যা: ২

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

৪. সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল ও পরিচালন)

পদসংখ্যা: ৩

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

৫. সহকারী পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

৬. উপসহকারী পরিচালক (আইটি)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

৭. উপসহকারী পরিচালক (অর্থ হিসাব ও রাজস্ব)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২৮ এপ্রিল ২০২৫

৮. উপসহকারী পরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

৯. উপসহকারী পরিচালক (লিগ্যাল)

পদসংখ্যা: ২

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

১০. উপসহকারী পরিচালক (লাইসেন্স)

পদসংখ্যা: ৩

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

১১. উপসহকারী পরিচালক (পরিদর্শন)

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

আরও পড়ুনইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত৩০ এপ্রিল ২০২৫

১২. ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

১৩. কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১৪. হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১৫. ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১৬. অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১৭. গাড়িচালক

পদসংখ্যা: ৯

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১৮. ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা

১৯. পরিচ্ছন্নতাকর্মী

পদসংখ্যা: ১

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

২০. অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ২

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

চাকরিতে আবেদনের বয়স-

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১-২-২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি)/ সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লিখিত জন্মতারিখ ধরে প্রার্থীর বয়স হিসাব করা হবে। বয়সের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন ফি-

আবেদনকারীকে পরীক্ষার ফি বাবদ নবম ও ১০ম গ্রেডের জন্য মোট ২২৩/- (দুই শত তেইশ) টাকা, ১১তম গ্রেডের জন্য মোট ১৬৮/-(এক শত আটষট্টি) টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য মোট ১১২/- (এক শত বারো) টাকা এবং ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ৫৬/-(ছাপ্পান্ন) টাকা। তবে সব গ্রেডের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীরা পরীক্ষার ফি বাবদ ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা (অফেরতযোগ্য)। আবেদন ফির আবেদনের অনধিক ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে প্রার্থীকে।

আবেদনের নিয়ম-

আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

আবেদন শেষ–

আবেদন করা যাবে ২৮-০৫-২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুনআস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে চাকরি, বেতন ৭০,০০০-১০০,০০০ টাকা৩ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র ড র জন য উপসহক র পদস খ য পর ক ষ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।

হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।

যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত
  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
  • যে হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ, বিদ্যুৎ–সংযোগ কিছুই নেই