ফতুল্লায় জামিনে বেরিয়ে হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিদের হুমকি
Published: 3rd, May 2025 GMT
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনের পরিবার কে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।
এই হুমকির ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন হোসাইনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে।
সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ্য করা হয়, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা থানার পূর্ব লালপুর রেললাইনস্থ নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামিন হোসাইন কে।
ঘটনার একদিন পর ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার নামীয় আসামী রতন ওরফে রাখাল রতন,শাওন হাসান,রাকিব প্রধান,নয়ন ওরফে কিলার নয়ন,জয়নাল,শাহ আলম ও রাসেল উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।
মামলা তুলে না নিলে ছেলে-মেয়ে সহ তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছ। ফলে সে সহ পরিবারের সকল সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন কে।
এ ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের আর্শিবাদপুস্ট আক্তার, সুমন, রতন ওরফে রাখাল রতন, রাকিব প্রধান, শাওন হাসান, শাহ আলম ,রাসেল, জয়নাল, নয়ন ওরফে কিলার রতন, রাব্বিলসহ ১৩ জনের উল্লখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরর পর পুলিশ আক্তার-সুমনের বাড়ীর কেয়ার টেকার এবং এজাহার নামীয় তিন আসামী সহ আক্তার-সুমনের বাড়ীর কেয়ার টেকার হত্যাকান্ডে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকার মৃত সমন আলী বেপারীর পুত্র।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম ম ন হ স ইন
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি-কোহলির শেষ লড়াইয়ে রেকর্ডের বন্যা
এমনিতেই ম্যাচটার উত্তাপ ছিল ভিন্ন। আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলির শেষ মুখোমুখি লড়াই বলে কথা! ৪৩ বছর বয়সী ধোনীর যে আগামী মৌসুমে খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই। ম্যাচটি ছিল রেকর্ডের মালা গাঁথা। এক বিরাট স্পর্শ করলেন ৬টি রেকর্ড। অন্যদিকে রোমারিও শেফার্ড করলেন এই মৌসুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। তাতেই শনিবার (৩ মে) ধোনীর চেন্নাই সুপার কিংসকে ২ রানে হারায় বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বেঙ্গালুরুকে। শনিবার রাতে ম্যাচের ১৭.৪ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৭ রান। এই সময় ক্রিজে আসেন শেফার্ড। বাদবাকি ১৪ বলের সবটাই এই ক্যারিবিয়ান একাই খেললেন। করলেন যৌথভাবে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।
আরো পড়ুন:
চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা
ধোনি ম্যাজিকে পাঁচ ম্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়
সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যশস্বী জয়সোয়ালের (১৩ বলে)। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলেছে ৫৪ রান। আইপিএলে ইনিংসের শেষ ২ ওভারে এত রান আগে কখনো হয়নি। একটা সময়ে ১৮০ হবে কি না সেই শঙ্কায় থাকা বেঙ্গালুরু তাতে পায় ২১৩ রানের বিশাল পুঁজি।
শেফার্ডের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে টিম ডেভিডের সঙ্গে ১৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েছেন, যেখানে ক্যারিবিয়ানের অবদান ১৪ বলে ৫৩। এই জুটিতে মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডেভিড। যেহেতু শেফার্ড বাকি থাকা ১৪টি বলই খেলেছেন, তাই সেটিও তার পাওয়ার কথা না। তবে ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের একটি নো বল করায় সেই সুযোগ পেয়েছেন।
চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ দুই ওভার বোলিং করেছেন খলিল ও পাথিরানা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে খলিলের এক ওভারেই শেফার্ড তোলেন ৩৩ (একটি নোসহ)। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা কোনো বোলারের করা এটিই সবচেয়ে খরুচে ওভার। এরপর পাতিরানার শেষ ওভারে দেন ২৪।
শেষ ২ ওভারে এদিন শেফার্ড নিয়েছেন ৫২। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান কেউ কোনো দিন নিতে পারেননি। সমান ৫২ রানই তুলেছিলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরি।
রান তাড়ায় ১৭ বছরের কিশোর আয়ুশ মাত্রের ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস আর জাদেজার সঙ্গে তার ৬৪ বলে ১১৪ রানের জুটি পথে রাখে চেন্নাইকে। তবে সপ্তদশ ওভারে আয়ুশ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে টানা দুই বলে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। তখন ক্রিজে যান ধোনি।
চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা তখনও ভালোমতোই জিইয়ে আছে। ২১ বলে প্রয়োজন ৪২ রান। জাদেজা একটি ছক্কা মারেন ওই ওভারেই। ১৯তম ওভারে দারুণ এক শটে ছক্কা মারেন ধোনিও। তবে অন্য ডেলিভারিগুলোয় বড় শট খেলতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে জাদেজা ও ধোনি নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে লো ফুল টস ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ধোনি। ওই ছক্কার পরও ৮ বল খেলে কেবল ১২ রান করতে পারেন ৪৩ বছর বয়সী কিংবদন্তি। এরপর দায়ালের সে নো বলে ছক্কা, তবে এই পেসার শেষ তিন বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। বেঙ্গালুরুর জয় দুই রানে। বিফলে জাদেজার ৪৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।
শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে মাত ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চেন্নাই।
ঢাকা/নাভিদ