ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনের পরিবার কে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।

এই হুমকির ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন হোসাইনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে।

সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ্য করা হয়, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা থানার পূর্ব  লালপুর রেললাইনস্থ নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামিন হোসাইন কে।

ঘটনার একদিন পর ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার নামীয়  আসামী রতন ওরফে রাখাল রতন,শাওন হাসান,রাকিব প্রধান,নয়ন ওরফে কিলার নয়ন,জয়নাল,শাহ আলম ও রাসেল উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।

মামলা তুলে না নিলে ছেলে-মেয়ে সহ তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছ। ফলে সে সহ পরিবারের সকল সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন কে।

এ ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের আর্শিবাদপুস্ট আক্তার, সুমন, রতন ওরফে রাখাল রতন, রাকিব প্রধান, শাওন হাসান, শাহ আলম ,রাসেল, জয়নাল, নয়ন ওরফে কিলার রতন, রাব্বিলসহ ১৩ জনের উল্লখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলা দায়েরর পর পুলিশ আক্তার-সুমনের বাড়ীর কেয়ার টেকার এবং এজাহার নামীয় তিন আসামী সহ আক্তার-সুমনের বাড়ীর কেয়ার টেকার  হত্যাকান্ডে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। 

নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা থানার পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকার মৃত সমন আলী বেপারীর পুত্র।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম ম ন হ স ইন

এছাড়াও পড়ুন:

পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।

নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ