কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে মারধর : ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি
Published: 6th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপর মারধরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় সর্বস্তরের চিকিৎসকেরা একজোট হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সভা শেষে চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক নাসিমুল বারী (বাপ্পী)।
নারী চিকিৎসক হেনস্তার প্রতিবাদে আজ দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনারকক্ষে জরুরি সভা হয়। সেখানে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ কুষ্টিয়ায় কর্মরত অন্তত ৮০ জন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার আনুমানিক দুপুরে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে একদল নারী-পুরুষ পূর্বপরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধভাবে চিকিৎসক শারমিন সুলতানা ও তাঁর স্বামী মোহাম্মদ মাসুদ রানাকে হঠাৎ আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে নিষ্ঠুরভাবে মারধর, শ্লীলতাহানি, লাঞ্ছিত ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এতে শারমিন সুলতানা গুরুতরভাবে আহত হন।
হামলাকারীরা তাঁর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার, টাকা লুট করে এবং গুম ও খুনের উদ্দেশ্যে জোর করে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই বর্বরোচিত ও জঘন্যতম ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার সর্বস্তরের চিকিৎসক ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুননারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপর মারধর, রক্ষা পাননি চিকিৎসক স্বামীও১৯ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত সব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান চিকিৎসকেরা। অন্যথায় তাঁরা বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
আরও পড়ুনটেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপর মারধর : থানা থেকে বাড়ি ফিরলেন ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক ৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুর বউবাজার এলাকার একটি বাড়িতে এসি বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে সোয়া ২টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী থেকে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ চার জন পেশেন্ট আমাদের এখানে এসেছে। তারা হলেন- তুহিন হোসেন (৩৮) ৪৭ শতাংশ, স্ত্রী ইভা আক্তার (৩০) ১৫ শতাংশ, ছেলে মোহাম্মদ তানভীর (৯) ৪০ শতাংশ এবং মোহাম্মদ তাওহীদ (৭) ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের (ইনহেলিশন) বার্ন রয়েছে। তাদেরকে বার্ন ইন্সটিটিউটের অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
দগ্ধ ব্যক্তিদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর কুনিয়া গ্রামে। তারা যাত্রাবাড়ীর ধলপুর বউবাজার এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা শিশুদের খালা ফারজানা আক্তার জানান, রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ এসি বিস্ফোরণ ঘটে। তাড়াহুড়া করে দরজার দিয়ে বের হওয়ার সময় আমার বোন জামাইসহ আমার ভাগ্নেরা দগ্ধ হয়। দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। এখন তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণে ঘরের আসবাবপত্রসহ দরজা জানালার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
ঢাকা/বুলবুল/এস