এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার, বুধবার ফিরছেন ক্লাসে
Published: 21st, October 2025 GMT
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শিক্ষকরা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
তিনি বলেন, “আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। আমরা বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকেই ক্লাসে ফিরে যাব।”
ঢাকা/রায়হান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’, বলেন বর্ষা
ত্রিভুজ প্রেমের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যেখানে মূল ভূমিকা রেখেছে জোবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম এবং লালবাগ বিভাগের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি।
আরো পড়ুন:
জোবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যে কারণে নবজাতককে খালে ফেললেন মা
প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, “এটি একটি ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা। বর্ষা মেয়েটি চালাক, দুই দিকেই সম্পর্ক বজায় রাখত। ঘটনাটি অনেকটা মিন্নি ঘটনার কাছাকাছি।”
তিনি বলেন, “নিহত জুবায়েদ হোসেন (২৫) গত ১ বছর ধরে বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে (১৯) প্রাইভেট পড়াতেন। ৪ মাস আগে বর্ষা জুবায়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু এর আগে বর্ষার সঙ্গে অভিযুক্ত মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
“জুবায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর বর্ষা মাহিরকে জানায়, জোবায়েদকে না সরালে তোমার কাছে ফিরতে পারব না। এরপর বর্ষার প্ররোচনায় মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহমেদ আয়লান জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে,” -বলেন নজরুল ইসলাম।
হত্যার সময় বর্ষা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল এবং সবকিছু নিজ চোখে দেখেছে জানিয়ে ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, “ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরও জোবায়েদ বেঁচে ছিলেন। বাঁচার জন্য দোতলায় উঠে যান। তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে থাকা বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলেন, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা জবাবে বলেন, ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না।’ এরপর বর্ষা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।”
পুলিশের তথ্য মতে, ঘটনার দিন বর্ষা ফোনে জোবায়েদের অবস্থান জেনে মাহিরকে জানায়। পরে আরমানিটোলার একটি ভবনের নিচে দেখা করতে আসে জোবায়েদ। সেখানে মাহির ও আয়লান তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় ছুরি চালায়।
রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই জোবায়েদের মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তিনজনই।পুলিশ পরে অভিযান চালিয়ে বর্ষা, মাহির ও আয়লানকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত মঙ্গলবার বংশাল থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী