সুকুক বা ইসলামি বন্ড ছেড়ে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করবে সরকার। নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ খরচ করা হবে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলার উন্নয়নে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিনিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক, বিমা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভায় এ সুকুক ইস্যুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

এতে জানানো হয়, সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি কবির আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২০টি উপজেলার পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৭ বছর মেয়াদি এই সুকুক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘আইআরআইডিপিএনএফএল সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ নামে এই সুকুকটি ইজারা পদ্ধতিতে ইস্যু করা হবে।

এই সুকুক থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিন জেলার ২০টি উপজেলায় সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ, পুনর্বাসন ও ঢাল রক্ষাকরণ কাজসহ হাটবাজার ও পর্যটন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার কৃষি ও অকৃষি অর্থনীতির গতিশীলতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সুকুক ইস্যু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল পারপাস ভেহিকেলের মাধ্যমে ২৪ হাজার কোটি টাকার মোট ৬টি সুকুক ইস্যু করেছে। নতুন এই সুকুকটি হবে সরকারের সপ্তম সুকুক ইস্যু।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই স ক ক ন নয়ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিসেম্বরে আসছে ২৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুকুক
  • ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি