মেসি যখন যেখানে সর্বোচ্চ গোলদাতা
Published: 21st, October 2025 GMT
বয়স ৩৮ পেরোলেও বল পায়ে আগের মতোই ছন্দ ধরে রেখেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এখনো আগের মতোই গোল করছেন ও করাচ্ছেন। সদ্য শেষ হওয়া মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুমই এর প্রমাণ। মৌসুমে ২৮ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৯ গোল নিয়ে গোল করায় সবার ওপরে মেসি।
অবশ্যই কোনো টুর্নামেন্টে মেসির সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার এটা একমাত্র নজির নয়। ক্যারিয়ারজুড়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অনেকবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন মেসি। সেসব টুর্নামেন্টে মেসির সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পরিসংখ্যান নিয়ে এই আয়োজন।
লা লিগায় মেসিলা লিগাই মূলত মেসিকে আজকের মেসি হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখানেই তাঁর গোল করার সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে। স্পেনের এই শীর্ষ লিগে মেসি সর্বোচ্চ ৪৭৪ গোল করে চূড়ায় অবস্থান করছেন, যেখানে তিনি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন আটবার। পাশাপাশি ২০১১–২২ মৌসুমে সব রেকর্ড ভেঙে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ গোল করার কীর্তিও গড়েছিলেন।
আরও পড়ুনমেসি–রোনালদোর তুমুল লড়াই হ্যাটট্রিক করায়ও ২১ ঘণ্টা আগেকোপা দেল রেক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ৭ বার স্পেনের বার্ষিক প্রতিযোগিতা কোপা দেল রে’র ট্রফি জিতেছেন মেসি। এই অর্জনের পথে ৮০ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৫৬টি। যেখানে ৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন। সর্বোচ্চ ৭ গোল করেছিরেন ২০১০–১১ মৌসুমে।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ালটনের র্যাবিস টিকাদান কর্মসূচি শুধু দায়বদ্ধতার নিদর্শন’
গত ১৭ অক্টোবর থেকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চন্দ্রাস্থ হেড কোয়ার্টারে ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে র্যাবিস (জলাতঙ্ক) ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি সার্জনের উপস্থিতিতে ডিপ ইকোলোজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন (DESCF) সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেছেন, “এই কার্যক্রম শুধু কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর আন্তঃনির্ভরশীলতা তুলে ধরে। জলাতঙ্ক জুনোটিক রোগ (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রামক)। জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে ওয়ালটন পরোক্ষভাবে স্থানীয় কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনকে মূল্য দিচ্ছে।”
ওয়ালটনের ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেছেন, “যখন রোগ নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন বন্যপ্রাণীর মধ্যে রোগের সংক্রমণ কমে আসে, যা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। র্যাবিস নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষের স্বাস্থ্য সরাসরি অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত (ওয়ান হেলথ বা এক স্বাস্থ্য ধারণা)। যেখানে মানুষ নিজেদেরকে প্রকৃতির একটি বিচ্ছিন্ন অংশ মনে করে না, বরং একটি বৃহত্তর জীবন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দেখে।”
ডিপ ইকোলোজির প্রতিনিধিরা বলেন, “ওয়ালটনের র্যাবিস টিকাদান কার্যক্রম শুধু জনস্বাস্থ্য নয়, এটি প্রাণী কল্যাণ ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতার নিদর্শন। ওয়ালটন যে মানবজীবন সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে, আমরা তাকে গভীরভাবে সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ গভীর বাস্তুবিদ্যার নীতি অনুসারে আরো বৃহত্তর পরিসরে সম্প্রসারিত হবে— যেখানে প্রাণিজগৎ, মানুষ ও পরিবেশের অন্তর্নিহিত মূল্যকে সম্মান জানিয়ে টেকসই সংরক্ষণ কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।”
র্যাবিস টিকাদান কর্মসূচিতে সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত আছে ওয়ালটন পেস্ট কন্ট্রোল টিম এবং ইনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগ।
ঢাকা/রফিক